দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বকাপটা নিজেদের করে নিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। আবেগ, রোমাঞ্চ ও উত্তেজনায় ভরপুর ফাইনালে ফরাসিদের টাইব্রেকারে হারিয়ে অধরা সোনালি ট্রফি উঁচু করে ধরেছে ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা। চ্যাম্পিয়ন হয়ে শুধু যে ৬.১৭ কেজি ওজনের ট্রফিটা পেয়েছে আলবিসেলিস্তারা, তা নয়। এর সঙ্গে পেয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থও।
মরুরবুকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে এবার যে খরচ হয়েছে, তা অতীতে আয়োজিত ২১টি আসরের মোট খরচের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। কাতার বিশ্বকাপে বর্তমান শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি সংবলিত বিশেষ বল, নতুন অফ সাইড টেকনোলজি, অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের সংখ্যাবৃদ্ধিসহ অনেক নতুন নতুন নিয়মের সংযোজন করা হয়েছে। তবে শুধু আয়োজনের খরচ বাড়ানোই নয়, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর পুরষ্কারের টাকার পরিমাণও বাড়িয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২টি দলের জন্যই থাকছে নগদ পুরষ্কার ও অর্থ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- লিওনেল স্ক্যালোনি: আর্জেন্টিনার স্বপ্ন জয়ের কারিগর
ফাইনাল জিতে আর্জেন্টিনা দল পেয়েছে ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪২০ কোটি টাকারও বেশি। অন্যদিকে টাইব্রেকারে হেরে রানার্সআপ হওয়া ফ্রান্স দল পেয়েছে ৩০ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি ৩১৪ কোটি টাকার সমান। আর তৃতীয় হওয়া ক্রোয়েশিয়া পেয়েছে ২৭ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৮৩ কোটি টাকা)।
তবে কাতার থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়নি খেলতে আসা বাকি ২৯টি দলকে। তৃতীয় স্থান নির্ধারনি ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে চতুর্থ হওয়া মরক্কো বাড়ি ফিরেছে ২৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে (প্রায় ২৬২ কোটি টাকা)।
বিজ্ঞাপন
কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত চার দল নেদারল্যান্ডস, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড ও পর্তুগাল পেয়েছে ১৭ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭৮ কোটি টাকার সমান।
আরও পড়ুন- স্বপ্নযাত্রায় মেসির যত রেকর্ড
অন্যদিকে শেষ ষোলো পর্বে হেরে যাওয়া আট দল (সেনেগাল, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইজারল্যান্ড) দেশে ফিরেছে ১৩ মিলিয়ন ডলার (১৩৬ কোটি টাকার কিছু বেশি) সঙ্গে নিয়ে।
আর ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে যাওয়া দলগুলো ৯ মিলিয়ন ডলার (৯৪ কোটির টাকার কিছু বেশি) করে পেয়েছে।
এফএইচ