বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

গোল্ডেন গ্লাভসের দৌড়ে যারা 

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

গোল্ডেন গ্লাভসের দৌড়ে যারা 

ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াই। সোনালী ট্রফিকে উঁচিয়ে ধরে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার প্রতিযোগীতা। সেই বিজয় মাল্য গলায় পড়তে লড়াই করেন ৩২টি দেশের ফুটবলাররা। এদের মধ্যে কেউ হয়ে ওঠেন মাঠের মধ্যমণি, আবার কেউ হয়ে ওঠেন গোলপোষ্টের অতন্দ্র প্রহরী। পুরো আসরজুড়ে চলতে থাকে তার জাদু। ফুটবলের আলোক রশ্মির সবটাই তিনি টেনে নেন নিজের দিকে। পুরো আসরের সেরা গোলরক্ষক হয়ে উঠেন তিনি। এমন গোলরক্ষকের একক নৈপুণ্যের জন্য ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা তাকে ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ দিয়ে পুরস্কৃত করে থাকে। কাতার বিশ্বকাপে সেই সাফল্যের দৌড়ে রয়েছেন চারটি দেশের গোলরক্ষক। 

১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র আসর থেকে গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। তখন এই পুরস্কারের নাম ছিল ‘লেব ইয়াসিন’। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিখ্যাত গোলকিপার লেব ইয়াসিনের সম্মানে আসরের শ্রেষ্ট গোলরক্ষকে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। ২০১০ সালে ফিফা এই পুরস্কারের নাম বদলে রাখে গোল্ডেন গ্লাভস। 


বিজ্ঞাপন


এইবারের বিশ্বকাপে কে হবেন সেই সম্মানের অধিকারী? কে আছেন সেই দৌড়ে এগিয়ে? চলুন দেখে নেওয়া যাক।


এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (আর্জেন্টিনা) 

গত দুই বছর আগে মেসিদের দলে জায়গা করে নেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তিনি যেন আর্জেন্টিনার জন্য আশীর্বাদ হয়েই এসেছেন। ২১ কোপা আমেরিকায় গোল্ডেন গ্লাভস জেতা অ্যাস্টন ভিলার এই গোলকিপার কাতারেও গোলবারের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছেন। পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কির শট ঠেকিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে নিজের দলকে নক আউট পর্বে টেনে আনেন তিনি। এরপর শেষ আটের লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে বাজপাখির মতো দুটি শট ঠেকিয়ে দলকে একাই সেমিতে তুলেন আলবিসেলেস্তেদের। সেমিতে ক্রোয়েটদের বিপক্ষেও ক্লিনশিট রাখেন তিনি। পুরো আসরে আলবিসেলেস্তেদের প্রতিটি জয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তিনি। 

হুগো লরিস (ফ্রান্স)


বিজ্ঞাপন


ফরাসিদের গোলবারের নিচে সবচেয়ে বড় আস্থা তাদের অধিনায়ক হুগো লরিস। ৩৫ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক সব সময়ই একজন বড় মঞ্চের খেলোয়াড়। গ্রুপ পর্বটা লরিসের জন্য খুব একটা ভালো না গেলেও, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিতে এই টটেনহাম গোলরক্ষক ফিরেছেন নিজের সেরা ছন্দে। এদিকে দারুণ এক ব্যক্তিগত অর্জনও অপেক্ষা করছে তার জন্য। ফাইনালে মাঠে নামলেই বিশ্বকাপে গোলরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ২০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড করবেন তিনি। বিশ্বকাপে মোট ১৯ ম্যাচ খেলে এখন এই রেকর্ডে লরিসের সঙ্গে যৌথভাবে আছেন জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়ার।

ডমিনিক লিভাকোভিচ (ক্রোয়েশিয়া)

ক্রোয়েটদের সেমিফাইনালে উঠা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা খেলোয়াড়দের একজন লিভাকোভিচ। গ্রুপ পর্বে শক্তিশালী বেলজিয়াম ও চতুর্থ স্থান অধিকারী মরক্কোর বিপক্ষেও ক্লিনশিট রেখেছিলেন তিনি। এরপর নকআউটে পর পর দুই ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন টাইব্রেকারে নিজের সেরাটা দিয়ে। বিশেষ করে এই আসরের অন্যতম ফেভারিট দল ব্রাজিলের বিপক্ষে তার একার পারফরম্যান্সই লুকা মদ্রিচদের কাতারে টিকিয়ে রেখেছিল। বিশ্বকাপের ২২তম আসরে এই গোলরক্ষকের সেভসংখ্যাও অন্য যেকোনো গোলকিপারের চেয়ে অনেক বেশি।

ইয়াসিন বুনো (মরক্কো)  

এবারের আসরের ‘ডার্ক হর্স’ খ্যাত দল মরক্কোর অনুপ্রেরণাময় বিশ্বকাপ যাত্রার মূল কেন্দ্রেই ছিল তাদের রক্ষণ। আর সেই রক্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন সেভিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসিন বনো। সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত তাকে কোনো প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ই পরাস্ত করতে পারেনি। স্পেনের বিপক্ষে টাইব্রেকারেও বল জালে জড়াতে দেননি তিনি। সেদিন তিন তিনটি শট ফিরিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। পর্তুগালের বিপক্ষে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রোনালদো, ফেলিক্স, রামোসের মতো সব বড় বড় তারকাকে। 

এসসিএন/এমএএম 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর