২০০২ সালের (কোরিয়া-জাপান) বিশ্বকাপের ঠিক ২০ বছর পর ২০২২ সালে এসে আবারো এশিয়া মহাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহারণ 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ'। এইবারের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে মধ্য এশিয়ার দেশ কাতার। প্রতিবারের ন্যায় তাই এই বিশ্বকাপেও আছে নতুন উত্তেজনা, নতুন নিয়ম, নতুন আয়োজন। বিশ্বকাপের অফিসিয়াল মাসকটও তার ব্যতিক্রম নয়।
ফুটবল বিশ্বকাপের প্রতি আসর জুড়েই মূল আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে ‘মাসকট’। এটির মাধ্যমেই ফিফা সমর্থকদের কাছে তাদের মূল স্লোগানটি পৌঁছে দেয়। তবে মাসকটের ব্যবহার নিয়ে রয়েছে ভিন্ন রকম তথ্য।
বিজ্ঞাপন
প্রথম বিশ্বকাপ থেকেই এর যাত্রা শুরু হয়নি। ফুটবল বিশ্বকাপের ৯ম আসর থেকে অর্থাৎ ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে মাসকটের প্রচলন শুরু হয়। একই ধারায় এবারের ২০২২ কাতার বিশ্বকাপেও রয়েছে ফিফার অফিসিয়াল মাসকট। আর তাঁর নাম 'লায়িব '। এটিকে সাদা রঙের কাতারি পোশাক পরা এবং কাতারি ঢংয়ে সাজানো এক তরুণের আদলে তৈরি করা হয়েছে।
'লায়িব' একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ 'চূড়ান্ত দক্ষতাসম্পন্ন এক খেলোয়াড়'। ফিফার তরফ থেকে জানা যায় যে, ''লায়িব এমন এক গ্রহের বাসিন্দা যেখানে সব ম্যাসকটেরা থাকে। সে উড়ে উড়ে ঘুরে বেরায় মহাকাশের শূন্যে । সে পৃথিবীর মানুষকে জানাতে চায় যে, বহু বছরের চেষ্টার পর অবশেষে সে পৃথিবীর মানুষের কাছে আসতে পেরেছে শান্তির বার্তা নিয়ে। গোটা দুনিয়ার সমস্ত ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে নিজের আনন্দ ভাগ করে নিতে আসছে লায়িব। সে সবাইকে নিজের উপর ভরসা রাখার বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছে। সে সবাইকে ফুটবলের মাধ্যমে আনন্দ দেবে। সে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, রসিক এবং সব বিষয়ে আগ্রহী।"
লায়িবকে নিয়ে ফিফা আরো জানিয়েছে যে, "সে সাহসী ও নব প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর একজন তরুণ। সে আগে অনুষ্ঠিত হওয়া সকল বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ দেখেছে এবং প্রতিটি ম্যাচের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ গোলে অবদান রেখেছে।"
এসসিএন/এমএএম