খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গ্রুপ-ই'তে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ সন্ধ্যা ৭ টায় মাঠে নামবে চার-চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, যাদের প্রতিপক্ষ সামুরাই ব্লুজ খ্যাত সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। শক্তিমত্তা, বিশ্বকাপ ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতা, সব ক্ষেত্রেই জার্মানি ও জাপানের মধ্যে ব্যবধান অনেক। আসরে ২০ তম বারের মতো বিশ্ব মঞ্চে লড়াই করতে নামছে জার্মানি। অপরদিকে ৭ম বারের মতো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে নামছে জাপান। বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বটা সেইভাবে জানান দিতে না পারলেও, অনেকদিন ধরেই এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি সামুরাইয়ের দেশটি। তবুও সব দিক বিবেচনায় আজ এশিয়ার দলটির বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
২০১৪ আসরের চ্যাম্পিয়ন ছিল জার্মানি। অথচ সেই জার্মানিই গত রাশিয়া আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিল। তাই সেই ভয়ংকর স্মৃতির কখনোই পুনরাবৃত্তি চাইবে না চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে জার্মানি ও জাপানের এইবারই প্রথম সাক্ষাৎ। ফলে দুই দলের পুরনো সাক্ষাতের কোনও রেকর্ড নেই। তবে, এখন পর্যন্ত দুটি প্রীতি ম্যাচে দেখা হয়েছে জার্মানি-জাপানের। ২০০৪ সালে ইকোহামায় ৩-০ গোলে জিতেছিল জার্মানি এবং ২০০৬ সালে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে লেভারকুজেনে ২-২ গোলে ড্র হয়েই থেমেছে তাদের লড়াই।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে জার্মানির বড় ধাক্কা দলের তারকা উইঙ্গার লেরয় সানকে পাচ্ছে না তারা। বিশ্বকাপের জন্য দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে বেশ ছন্দেই ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড। তবে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে টুইটারে জানানো হয়েছে, জাপানের বিরুদ্ধে নামার আগে মঙ্গলবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি সানে। তাঁর হাঁটুতে চোট রয়েছে।
এদিকে জাপানের বিরুদ্ধে ফ্লিকের একাদশে যদি তরুণ তুর্কি জামাল মুসিয়ালা থাকেন, সেদিকে বিশেষ নজর থাকবে আজকের ম্যাচে। জাতীয় দলের হয়ে জামালের যাত্রা শুরু হয়েছেছিল ১৮ মাস আগে। ইতিমধ্যেই তিনি দেশের হয়ে ১৭টি ম্যাচে খেলে ফেলেছেন। চার বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কাপ যাত্রা শুরুর দিন তাই মুসিয়ালার দিকে আলাদা নজর থাকবে ফুটবল বিশ্বের। যদি জাপানের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পান মুসিয়ালা, তা হলে আজ তাঁর হবে বিশ্বকাপ অভিষেক।
অন্যদিকে মুসিয়ালার মতো জাপান শিবিরেও নজর থাকবে তাকুমি মিনামিনোর দিকে। তিনিও বিশ্বকাপে অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন। যদিও তিনি ২০১৪ সালে ব্রাজিলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন। তবে এবারের বিশ্বকাপে সরাসরি প্রবেশ করেছে সামুরাই ব্লুজরা। এএফসি বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে জাপান দ্বিতীয় হওয়ায় কাতারের টিকিট পেয়ে যায় এশিয়ার শক্তিশালী দলটি। তাছাড়া জাপানের বিরুদ্ধ বিশেষ নজর থাকবে জার্মানির অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড থমাস মুলার এবং অধিনায়ক ম্যানুয়েল ন্যুয়েরের দিকেও।
এসটি
