মা— ছোট্ট এই শব্দটির গভীরতা অনেক। কেউ বলে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। কেউবা মানেন মা ই স্বর্গ। ধর্ম বা জাতীয়তা যাই হোক, মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন বড্ড পবিত্র। সন্তানের যেকোনো অর্জনের যে ঠোঁটে সবার আগে হাসি ফোটে সেটি মায়ের।
কাতারে চলছে বিশ্বকাপ উন্মাদনা। নিজের দেশের হয়ে লড়ে যাচ্ছেন ৩২টি দেশের খেলোয়াড়। কেউ জিতছেন, কেউবা হারছেন। এই দলগুলোর কিছু সবসময়ের জনপ্রিয়। কিছু দল আবার পরিচিত দুর্বল হিসেবে। এই যেমন মরক্কো। গত ২৪ বছর মানে দুই যুগেও বিশ্বকাপের মঞ্চে জয়ের দেখা পায়নি দলটি।
বিজ্ঞাপন
তবে সব সমীকরণ বদলে গেল গতকালকের ম্যাচে। গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট হট ফেভারিট দল বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকে অবাক করল মরক্কো। গতকালের ম্যাচের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি ছবি হলো মা আর ছেলের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মুহূর্তের ছবি।
>> আরও পড়ুন- মা: নিঃস্বার্থ ভালোবাসার আধার
কালকের ম্যাচের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সময়েও কোনো গোলের দেখা পায়নি দুই দল। ৭৩ মিনিটে আবদেল হামিদ গোল করলে শুরু হয় উৎসব। কয়েকজন লুটিয়ে পড়েন সিজদায়। এমন সময় আশরাফ হাকিমি এগিয়ে যান গ্যালারিতে থাকা তার মা সৈয়দা মৌ এর দিকে। সন্তানকে কাছে পেয়েই জড়িয়ে ধরেন মা। চুমু এঁকে দেন তার গালে। ছেলেও মায়ের কপালে আঁকেন ভালোবাসার চিহ্ন। অভূতপূর্ব সেই মুহূর্ত বন্দি হয় ক্যামেরার ফ্রেমে। আর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হতে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
মরোক্ক দলের ডিফেন্ডার হাকিমির মায়ের সঙ্গে উৎসব ভাগাভাগি করার এই মুহূর্ত অনেককে আবেগতাড়িত করে। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা কিংবা মায়ের জন্য সন্তানের আবেগ চোখে পানি দেয় অনেকের।
>> আরও পড়ুন: খেলা দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্য যেন ‘অফসাইডে’ না যায়
ফেসবুকের পাতায় কেউ বাহবা দিয়ে লেখেন, ‘এমনটা তো হওয়া উচিত, মা হলেন বেহেশত’। কেউবা দুঃখের স্মৃতি মনে করে লেখেন, ‘মায়েরা এমনই হয়। আমার মা নেই। বেঁচে থাকলে তিনিও আমার অর্জনে এমন আনন্দ পেতেন। হাকিমি ভাগ্যবান, তার মা আছেন।’
কেবল নিজের সন্তান নয়, হাকিমির অন্য সতীর্থদেরও কাছে ডেকে আদর করেন এই মা। গ্যালারির এই দৃশ্য আবেগে ভাসায় পুরো বিশ্বকে। হাকিমি নিজেও তার টুইটারে ছবিটি পোস্ট করেন। সন্তানের অর্জনে মায়ের মুখের এই হাসি হয়তো এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম অর্জন বলা চলে।
এনএম