কাতারে বেজে উঠেছে ফুটবল বিশ্বকাপের দামামা। ফিফা অন্তর্ভুক্ত ৩২টি দল শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে অংশ নিয়েছে এবারের আসরে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ খেলতে দলগুলো ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে। তাছাড়াও এসেছেন ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যরা।
ইংরেজ ফুটবলারদের স্ত্রী-বান্ধবীদের রাখার জন্য এলাহি আয়োজন করেছে আয়োজক দেশ কাতার। গতকাল (রোববার) দোহা বন্দরে বিশাল এক প্রমোদতরীতে এসে উঠেছেন ইংলিশ ফুটবলারদের স্ত্রী-বান্ধবীরা। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্কের।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- মাঠে নেমেই বিরল ইতিহাস গড়বে নেদারল্যান্ডস
প্রায় ৯৭০৫ কোটি টাকায় তৈরি প্রমোদতরীটি দামের দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা হলেও, এই প্রমোদতরীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে শ্রমিকদের ঘাম-রক্ত। জানা যায়, এটি তৈরি করতে যে সব শ্রমিকরা পরিশ্রম করেছেন, তাদের সঙ্গে ক্রীতদাসদের মতো ব্যবহার করা হয়। এমনকি, দিনের পর দিন কম পারিশ্রমিকে কাজ করতে হয়েছে তাদের।
স্পেনের একটি মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, কিউবার প্রায় হাজারখানেক শ্রমিকের সঙ্গে অত্যাচার করা হয়েছে এই প্রমোদতরী তৈরিতে। যাদের থাকার জায়গা ছিল নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। এমনকি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি কাজ করার পরও দেয়া হয়নি প্রাপ্য পারিশ্রমিক। জানা যায়, শ্রমিকদের পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনা।
বিজ্ঞাপন
২০১৬ সাল থেকে প্রমোদতরীটি বানানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। ইতালির শিপিং সংস্থা ‘এমএসসি ক্রুজেস’ নির্মান করেছে এটি। যার স্পোর্টসপ্লেক্স এলাকায় আছে বাস্কেটবল, বাম্পার কার, রোলার ডিস্কো রিঙ্ক খেলার সুবিধা। তাছাড়া ১৩টি রেস্তোরা ও পানশালা ছাড়াও প্রমোদতরীতে মাইক্রো-ব্রিউয়ারি থাকছে। বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তের বিভিন্ন মদও পাওয়া যাবে এখানে।
আরও পড়ুন- ফিফার নির্দেশ অমান্য করেই মাঠে নামবে ইংল্যান্ড
এবারের বিশ্বকাপে কাতারের সব জায়গায় মদ্যপান নিয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এই প্রমোদতরীতে নেই কোনও বাঁধাধরা নিয়ম। প্রমোদতরীর সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী জানান, ‘এই প্রমোদতরীতে থাকা অসাধারণ ব্যাপার। বিশ্বকাপ দেখতে এলে এর থেকে ভাল জায়গা আর হয় না। মদ্যপানেও কোনও অসুবিধা নেই। দোহারের অনেক হোটেলে রৌদ্রস্নান করা যাবে না। এখানে সেই সুবিধাও রয়েছে’।
তবে ফুটবলাররা বিশ্বকাপ চলাকালে তাদের স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। কোভিডবিধি মেনে চলতে হবে তাদের। অপরদিকে, স্ত্রী-বান্ধবীরা কোভিডবিধির বাইরে থাকবেন।
এফএইচ