স্পট কিক থেকে নেওয়া শট পোস্টে লাগার পরই হতাশায় মাটিতে বসে পড়লেন মার্কুইনোস। ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ তখন মাঠের এক প্রান্তের দিকে ছুটছেন। তার পেছনে পেছনে ক্রোয়েশিয়ার বাকি ফুটবলাররাও। সেদিকে অবশ্য নজর ছিল না কারই। সবার চোখ তখন হলুদ জার্সিধারীদের দিকে। মাঠের সেন্টার লাইনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মুখগুলোর দিকে তখন তাকানোই দায়। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ে ততক্ষণে মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নেইমার, ভিনিসিয়াস, রিচার্লিসনেরা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- পেনাল্টির নাটকীয়তা শেষে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
মাঠের রিজার্ভ বেঞ্চে তখন একা একা বসে ছিলেন নেইমার। কিছুক্ষণ পরেই ভেঙে পড়লেন কান্নায়। যা দেখে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলেন দানি আলভেস। তাতেও সামলানো যাচ্ছিল না ব্রাজিলের এই মুহূর্তের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফুটবলারকে। ৩৯ বছর বয়সী দানি আলভেস বুকে-পিঠে হাত বুলিয়ে নানা ভাবে চেষ্টা করেও থামাতে পারছিলেন না নেইমারের সেই কান্না। বারবারই বৃথা যাচ্ছিল তার সব প্রচেষ্টা। ৩১ বছরের নেইমারের কাছেও যে সময় কমে আসছে। কাপ নিয়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন হাসিমুখে। কে জানে পরের বিশ্বকাপে সেই স্বপ্ন পূরণে আবার মাঠে দেখা যাবে কিনা এই তারকাকে?
মাঠের অপর প্রান্তে দেখা গেল রদ্রিগোকে। হাউ মাউ করে কাঁদছেন তিনিও। টাইব্রেকারে তার নেওয়া প্রথম শটটাই রুখে দেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক। এতেই দলটির আত্মবিশ্বাস চলে যায় আরো তলানিতে।
বিজ্ঞাপন
এর মাঝেই সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দ করার ফাঁকে ছুটে এলেন লুকা মদ্রিচ। দুইজনেই খেলেন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। রদ্রিগোকে তাই জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিলেন শেষ বিশ্বকাপ খেলা মদ্রিচ। থামানো যাচ্ছিল না অ্যান্টনি ও রাফিনহাকেও।
এফএইচ