তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা নিজেদের করে নেওয়ার এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারডোনার উত্তরসূরীরা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বসা এবারের আসরে শুরুটা ভালো না হলেও, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেসি-আলভারেজরা যা করে দেখিয়েছেন, তা দেখে আলবেসেলিস্তাদের সোনালী ট্রফি ঘরে নেওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারেন ভক্তরা।
কাতার বিশ্বকাপে প্রথম সেমিফাইনালের ম্যাচে গতরাতে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। যেখানে ফাইনালে ওঠার পথে রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েটদের ৩-০ গোলে হারিয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল। ম্যাচে লিওনেল মেসির রেকর্ডগড়া গোলের সঙ্গে জুলিয়ান আলভারেজের জোড়া গোল আলবেসেলিস্তাদের পৌঁছে দেয় বিশ্বকাপের ফাইনালে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর বান্ধবীদের পার্টিতে নেইমার (ছবি ভাইরাল)
ক্রোয়েটদের বিপক্ষে ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে অবিশ্বাস্য গোল করেন আর্জেন্টিনার ২২ বছরের তরুণ তুর্কি জুলিয়ান আলভারেজ। পাল্টা আক্রমণ থেকে পাওয়া বল নিজেদের অর্ধ থেকে ৫০ গজ দৌড়ে তিন ডিফেন্ডারকে চমকে দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন আলভারেজ। এরপর ক্রোয়েট গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান এই ম্যানসিটি তারকা।
বিজ্ঞাপন
২২ বছরের এই ফরোয়ার্ডের সেই গোলের মধ্যে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার গোলের ছায়া দেখছেন অনেকেই। নেটিজেনরা বলেছেন, আলভারেজের উপর ভর করেছিল ম্যারাডোনা। কেউ কেউ বলছেন, এটা আলভারেজের ‘ম্যারাডোনা’ গোল।
আরও পড়ুন- অভিষেকেই বাবার রেকর্ড স্পর্শ করলেন শচিনপুত্র
ক্রোয়েশিয়ার মতো বল দখলে রাখা দলের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের ম্যাচে আলভারেজের এই গোল চমকে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। ক্রোয়েটদের বিপক্ষে গতরাতের ম্যাচে ৬৯তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আলভারেজ। যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব লিওনেল মেসির। দারুণভাবে মাঝমাঠ থেকে একা বল নিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে আলভারেজকে পাস দেন মেসি। এরপর দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ ব্যবধানে জয় এনে দেন এই ম্যান সিটি তারকা। এখন পর্যন্ত কাতার বিশ্বকাপে চারটি গোল এসেছে আলভারেজের পা থেকে। সর্বোচ্চ গোলের তালিকার শীর্ষে আছেন আলবেসেলিস্তা অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে।
এফএইচ