আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। এরপরই পর্দা উঠবে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। উদ্বোধনী ম্যাচে আজ (২০ নভেম্বর) আলবাইত স্টেডিয়ামে স্বাগতিক কাতারের মুখোমুখি হবে ইকুয়েডর। কে জিতবে, ইতোমধ্যে তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানান বিশ্লেষণ। স্বাগতিকদের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হওয়ায় এই ম্যাচের দিকে বাড়তি নজর থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে আলো ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে কাতারের গোল মেশিন আলমোয়েজ আলি এবং ইকুয়েডরের লেফটব্যাক পারভিস এস্তপিনানের। এই দুই তারকা ফুটবলার দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন-জার্মানির বাধা হতে পারে এশিয়ান 'পাওয়ার হাউস'
কাতার
সাত ম্যাচে নয় গোল করে তিন বছর আগে কাতারকে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন আলি। অন্যদিকে গত বছরের কনকাকাফ গোল্ডকাপেও কাতারের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকাতে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করার পর কাতারের এই তারকা ফুটবলার তিনটি ভিন্ন কনফেডারেশন টুর্নামেন্টে গোল করার অনন্য রেকর্ড অর্জন করেন।
ইকুয়েডর
বিজ্ঞাপন
এই দলে তিনজন ফুটবলার রয়েছেন যারা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ভিন্ন দলে খেলে থাকেন। সেই তিনজনের একজন হলেন এস্তপিনান। ইপিএলের দল ব্রাইটনের হয়ে খেলেন তিনি। এর আগে লা লিগার দল ভিয়ারিয়ালেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই লেফটব্যাকের। এস্তপিনান এমন একজন ফুটবলার যিনি ইকুয়েডরের হয়ে মাঠের উভয় প্রান্তে প্রভাব ফেলতে পারেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলাগুলোতে গোলের জন্য ২২টি সুযোগ তৈরি করেছিলেন, যা কি না কনমেবল অঞ্চলের অন্য যে কোনো ডিফেন্ডারের চেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন- ইতিহাসের 'কলঙ্কিত' বিশ্বকাপ জয়ী দল আর্জেন্টিনা
দুই দলের মধ্যে এর আগে তিনটি লড়াই হয়েছে যার সবগুলোই প্রীতি ম্যাচে। সেখানে একটি করে জয় দুই দলেরই, অপরটি ড্র। শক্তির বিচারে পার্থক্যটা খুব বেশি নেই। নির্দিষ্ট কাউকে এগিয়ে রাখা কঠিন। তবে কাতার কিছুটা এগিয়ে থাকবে স্বাগতিক হওয়ার কারণে। যদিও এই মঞ্চে তাদের অভিজ্ঞতা নেই। সবশেষ মুখোমুখি লড়াইয়ে আবার জিতেছিল তারাই। তবে ইকুয়েডরও ছেড়ে কথা বলবে না। আগ্রাসী ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের।
এসটি