কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে উত্তেজনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ম্যাচ বল থেকে শুরু করে ফাইনালের টিকিট, ফুটবলারদের জার্সি, রেফারি, স্পন্সর সবকিছু মিলিয়ে রোমাঞ্চকর এক মাসের লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটছে আজ। লুসাইলে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের ফাইনালের লড়াই মাঠের বাইরে উত্তাপ ছড়িয়েছে অনেক। বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস ও নাইকির দীর্ঘ ১২ বছরের এক অন্যরকম লড়াইয়ের আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে।
বিশ্বকাপের ফাইনালটি শুধু লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপেদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এই লড়াইটি বিখ্যাত দুই ব্র্যান্ডের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এক আসর বাদে আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা। অ্যাডিডাস দীর্ঘদিন ধরেই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের জার্সি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। সেই সুবাদে আলবিসেলেস্তেদের জার্সি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের ব্যস্ততা বেড়েছে তিন-চার গুণ।
বিজ্ঞাপন
ক্রীড়াভিত্তিক জনপ্রিয় দৈনিক মার্কা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বের অধিকাংশ জায়গাতেই মেসির জার্সি আউট অব স্টক। অ্যাডিডাসের আউটলেটের সামনে গেলেই ভক্তরা দেখতে পাচ্ছেন- ‘মেসিস জার্সি! সোল্ড আউট।’
অপরদিকে নাইকি দীর্ঘদিন ধরেই ফ্রান্স ফুটবল দলের জার্সি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। ফরাসিরা তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানির সামনে দাঁড়িয়ে সেই সঙ্গে নাইকির সামনে উঁকি দিচ্ছে সর্বোচ্চ জার্সি বিক্রির সুযোগ। এর আগে ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাণকারী দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লড়াই হয়েছিল।
সেবার নেদারল্যান্ডসের স্পন্সর ছিল নাইকি ও স্পেনের ছিল অ্যাডিডাস। তারপর আর দুই জায়ান্ট ব্র্যান্ডের দেখা মিলেনি বিশ্বকাপের লড়াইয়ে। এবার কাতার বিশ্বকাপে দীর্ঘ এক যুগ পর আবারো দুই বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান লড়তে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অ্যাডিডাসের অফিশিয়াল জার্সি পাওয়া যাচ্ছে না পৃথিবীর কোথাও। আলবিসেলেস্তেরা ও ফরাসিদের সামনে তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি। সেই সঙ্গে দুই ব্র্যান্ডের সামনে 'থ্রি স্টার' দিয়ে জার্সি বানানোর সুযোগ।
আজকের লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালের পর দুই জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানের যেকোন একটির কাজের পরিধি বাড়তে যাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিজ্ঞাপন
এমএএম