চলতি বিশ্বকাপে সমকামী আন্দোলনের সমর্থনে ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামতে চেয়েছিল ইউরোপের ৯টি দেশ। তবে শেষপর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার ভয়ে সেই কাজ না করলেও মাঠে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছে জার্মানি।
কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জাপানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে জার্মানি। ম্যাচের আগে গ্রুপ ফটো তোলার সময় প্রতিবাদ হিসেবে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরেন জার্মান খেলোয়াড়রা।
বিজ্ঞাপন
এই নীরব প্রতিবাদের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার ভয়ে যে মুখ খুলতে পারছেন না; সেটিই বুঝাতে চেয়েছেন তারা।
এর আগে ফিফা জানায় 'ওয়ানলাভ আর্মব্যান্ড' পরে মাঠে নামলে হলুদ কার্ড পাবেন অধিনায়ক। এমনটি হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল।
এর জবাবে যৌথভাবে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউরোপের সাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন লেখে, 'ফিফার সিদ্ধান্তে আমরা খুবই হতাশ, যা নজিরহীন বলেই বিশ্বাস করি আমরা। ফিফা খুবই পরিষ্কার ছিল যে, আমাদের খেলোয়াড়রা আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। '
বিবৃতিতে আরো লেখা হয়, 'আমরা জরিমানা দিতে প্রস্তুত ছিলাম এবং আর্মব্যান্ড পরতেও শক্তভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম। তবে আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের এমন পরিস্থিতিতে ফেলতে পারি না যেখানে তাদের নিষিদ্ধ হওয়া বা বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়ার সম্ভাবনা থাকে।'
বিজ্ঞাপন
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে 'ওয়ানলাভ আর্মব্যান্ড' পরে নামার কথা ছিল ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন, নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক ও ওয়েলস অধিনায়ক গ্যারেথ বেলের। এছাড়া বেলজিয়াম, ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ডের অধিনায়করাও একই কাজ করতে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি সম্ভব হয়নি।
এবারের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে। প্রথম আরব দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের আয়োজন করতে নানামুখি নিয়মের কথা জানিয়েছে দেশটি। স্টেডিয়ামে মদ বিক্রি, ছোট পোশাক পরিধান, বৈধ ও আইনগত সঙ্গী ছাড়া একত্রে বাস, সমকামিতাসহ অনেক কাজ নিষিদ্ধ করেছে কাতার। বস্তুত এগুলো দেশটিতে আগে থেকেই নিষিদ্ধ। কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপের মতো আসরে এসব নিষেধাজ্ঞার ব্যাপক সমালোচনা করেছে পশ্চিমারা।
একে