অঘটন দিয়ে কাতার বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করল আর্জেন্টিনা। তাদের নিয়ে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়েছেন মেসিরা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে যাত্রার প্রথম ম্যাচে হার আর্জেন্টিনার জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও পাঁচবার প্রথম ম্যাচে হেরেছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে একবার ফাইনালেও উঠেছিল। ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার মতো ফুটবলার থাকার পরও হেরেছিল তারা।
প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার হারের শুরুটা হয়েছিল ১৯৩৪ সালে। অথচ ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপে রানার্স হয়েছিল আর্জেন্টিনা।
চার বছর পর ১৯৩৪ সালে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সুইডেনের কাছে ২-৩ হেরে বিদায় নেয় তারা। সে বার শুরু থেকেই নকআউটে খেলা হয়। আর্জেন্টিনা হারে প্রথম ম্যাচেই।
এরপর ১৯৫০ এবং ১৯৬৪ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ১৯৫৮ সালেও প্রথম ম্যাচেই হেরে যায় তারা। পশ্চিম জার্মানির কাছে ১-৩ গোলে হারে তারা।
বিজ্ঞাপন
১৯৭৪ সালে প্রথম ম্যাচে পোল্যান্ডের কাছে ২-৩ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৮২ বিশ্বকাপে তারা প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ০-১ ব্যবধানে হারে।
১৯৮৬ সালে দিয়েগো ম্যারাডোনার সৌজন্যে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালে ট্রফিজয়ের দাবিদার হিসেবে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেবার ক্যামেরুনের কাছে প্রথম ম্যাচে ০-১ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেই হারের ধাক্কা সামলে একের পর এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যান ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। কিন্তু পশ্চিম জার্মানির কাছে ফাইনালে হারতে হয়, যে ম্যাচকে অনেকেই মনে করেন জোর করে হারানো হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।
সেই শেষ বার বিশ্বকাপে হারে আর্জেন্টিনা। গতবার তারা প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল আইসল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার আবার হারতে হল নীল-সাদা জার্সিধারীদের।
এমআর































































































































































































































































































































































































































































