ম্যানচেস্টার সিটি গত প্রায় এক দশকে যত সাফল্য পেয়েছে তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে কেভিন ডি ব্রুইনার নাম। ২০১৫ সালে জার্মান ক্লাব ভলফসবুর্গ থেকে ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ডে সিটিতে নাম লেখান তিনি। ২০১৬ সালে গার্দিওলা দায়িত্ব নেওয়ার পর দলটির হৃদয়ে পরিণত হন ডি ব্রুইনা।
এরপর ম্যানসিটিতে অসামান্য সাফল্য পেয়েছেন ডি ব্রুইনা। ম্যানসিটিতে ৪১৩ ম্যাচে ১০৬ গোল, ১৬টি ট্রফি, ৬টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, আর এক ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়—ডি ব্রুইনের সময়টা শুধু পরিসংখ্যানের গল্প নয়, এ এক ফুটবলীয় কাব্য।
বিজ্ঞাপন
দলের প্রাণভোমরার এমন ছেড়ে যাওয়া তাই গার্দিওলার জন্য খুবই কষ্টের। ডি ব্রুইনার বিদায় সম্পর্কে সিটি বস বলেন, “এটা এক কষ্টের দিন…গত দশকে আমাদের সাফল্যে তার অবদানের কথা আমাকে বলতে হবে না-তাকে ছাড়া এতকিছু কল্পনা করাও অসম্ভব।”
ম্যানসিটির একটা অংশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে জানিয়ে ডি ব্রুইনা বলেন, “দিনটা দুঃখের, কারণ আমাদের একটা অংশ আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে। যখন ভিনসেন্ট কোম্পানি চলে গিয়েছিল অথবা সের্হিও আগুয়েরো কিংবা দাভিদ সিলভা গিয়েছিল-এই খেলোয়াড়রা যারা এখানে অনেক বড় অবদান রেখেছে-এই দিনটা কষ্টের।”
গার্দিওলা আরও বলেন, “আমাদের এখনও ১০ ম্যাচ বাকি আছে, আশা করি ১১টি হবে, এর মধ্যে ছয়টি ঘরের মাঠে, যেখানে আমরা আমাদের সমর্থকদের সঙ্গে উপভোগ করতে পারব। এবং আমি নিশ্চিত, এই ম্যাচগুলোয় সে তার প্রাপ্য ভালোবাসা ও সম্মান পাবে।”
“প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এবং এই ক্লাবের সেরা খেলোয়াড়দের একজন সে, এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই ক্লাবে গত ২০-৩০ বছরে যারা খেলেছে, তাদের প্রতি সম্মান রেখে কাউকে সেরা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হয়; তবে সে যে সেরাদের একজন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।”