বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

মাদক ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আর্জেন্টিনা ম্যাচের রেফারি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ০২:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

মাদক ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আর্জেন্টিনা ম্যাচের রেফারি

এক বুক আশা নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে পা রেখেছিল আর্জেন্টিনা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুরুটাও দারুণ করেছিল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে উড়তে থাকা আলবিসেলেস্তাদের মাটিতে নামিয়ে আনে সৌদি আরব। গতকাল এশিয়ার সবুজ ফ্যালকনদের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটা ভালো হলেও শেষটা রাঙাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। কাগজে-কলমে এগিয়ে থেকেও সৌদি আরবের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হেরে মাঠ ছেড়েছে লিওনেল মেসির দল।   

চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অঘটন বলে ধরা হচ্ছে একে। তবে আলোচনায় উঠে এসেছেন নার্ভাস আর্জেন্টিনা এবং চমকে দেয়া সৌদির ফুটবলাররা। বিশেষ করে গোলকিপার আল-ওয়াইস। 


বিজ্ঞাপন


অপরদিকে আলো কেড়েছেন রেফারি স্লাভকো ভিনসিচ। তার সিদ্ধান্তে বাতিল হয় তিনটি গোল। অফসাইডের কারণে সেসব গোল বঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা। এছাড়া নানা মুহূর্তে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এছাড়া সমালোচকরাও বলছেন, এই ম্যাচে সৌদির পক্ষে তার সমর্থন ছিল। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। 

এছাড়া ইউরোপিয়ান দেশ স্লোভেনিয়ায় জন্ম ও বেড়ে ওঠেন ভিনসিচ। দেশটির ফুটবলে অন্যতম সেরা রেফারি হিসেবে স্বীকৃত তিনি। ২০১০ সাল থেকে ফিফা ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন ৪২ বছর বয়সী এই ব্যক্তিত্ব।

বিশ্বকাপ নয় শুধু, গত ইউরোপা লিগের ফাইনাল ম্যাচও পরিচালনা করেন তিনি। তাছাড়া ২০১৬ ও ২০২১ ইউরোর বাছাইপর্বের খেলা পরিচালনা করেন ভিনসিচ। 

তবে গতকাল আর্জেন্টিনা-সৌদি ম্যাচ চালানো রিফারি হঠাৎ সংবাদের শিরোনাম হন। তবে মাঠের কোনও কীর্তিতে নয়, বাইরের ঘটনায়।


বিজ্ঞাপন


স্লোভেনিয়ান এই রেফারি ২০২০ সালে বসনিয়ার বিয়েইনা শহরের একটি কেবিন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মাদক, অস্ত্র চোরাচালান ও যৌনকর্মী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

সেসময় সেই কেবিনে তল্লাশি চালিয়ে ১৪ প্যাকেট কোকেন, ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট এবং ১০ হাজার ইউরো জব্দ করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ৯ নারী ও ২৬ পুরুষকে উদ্ধার করা হয়। 

এরপরে তদন্তে উঠে আসে, এই চক্রের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ছিল না ভিনসিচের। মূলত সার্বিয়ান মডেল তিয়ানা মাকসিমোভিচের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

পরে ভিনসিচ বলেন, পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে স্পষ্ট হয়, ওই চক্রের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে আমাকে ছেড়ে দেয়। এটা আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।

ভুল সময়, ভুল জায়গায় ছিলেন ভিনসিচ। এতে তার গায়ে কালো দাগ লেগেছিল। ফলে তার রেফারিং ক্যারিয়ারের ইতি ঘটতে পারতো। কিন্তু সেটা হয়নি। 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর