বিশ্বকাপের মঞ্চে লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে, ইউসেফ আন নেসেরিরা দলের জয়ে রাখছেন নিজেদের ছাপ। করছেন দুর্দান্ত কিছু গোলও। ঠিক তেমনই গোলের নীচে চুপিসারে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন ডোমিনিক লিভাকোভিচ, এমিলিয়ানো মার্টিনেস, বুনোরা। তিন জনই ম্যাচের পর ম্যাচ দলকে উদ্ধার করছেন খাদের কিনারা থেকে। এমনকি এবারের আসরে দলের সেমিতে উঠার পেছনেও এই ত্রয়ীর অবদান কম নয়। তাই এবারের আসরে এরাই যে নীরব নায়ক!
ক্রোয়েটদের গোলবারের দায়িত্ব এবার একাই সামলে যাচ্ছেন লিভাকোভিচ। ২৭ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক কতটা দক্ষ, তার প্রমাণ মিলেছে এবারের আসরের দুইটি ম্যাচে। শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার ফাইনাল দুই ধাপেই টাইব্রেকারে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। যে দুই ম্যাচেই ক্রোয়েশিয়ার জয়ের নায়ক এই লিভাকোভিচ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- শাকিরার অভিশাপে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় স্পেনের!
জাপানের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে টাইব্রেকারে তিনটি পেনাল্টি রুখে দিয়েছিলেন লিভাকোভিচ। তার হাতেই স্বপ্নভঙ্গ হয় স্যামুরাই ব্লু’দের এবারের বিশ্বকাপ মিশন। শুধু তাই নয়। ব্রাজিলের বিপক্ষেও দলের ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ১২০ মিনিটের ম্যাচে গোলবারের নিচে দাঁড়িয়ে নেইমারদের ১৩টি শট বাঁচিয়েছেন এই গোলরক্ষক।
অন্যদিকে শেষ চারে ক্রোয়েশিয়া যাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে, সেই আলবেসেলিস্তা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেসও আছেন দারুণ ছন্দে। শেষ আটে টাইব্রেকারে তাঁর দল হারিয়েছে ডাচদের। আর্জেন্টিনার সেই ম্যাচে জয়ের নায়ক মার্টিনেস। নেদারল্যান্ডসের প্রথম দুইটি পেনাল্টি বাঁচিয়েছেন এই ৩০ বছর বয়সী গোলরক্ষক।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- ফিফার শাস্তি থেকে রক্ষা পেলেন মেসি, খেলবেন সেমিতে
তাছাড়াও এবারের বিশ্বকাপের বড় চমক উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। আফ্রিকার দেশ হিসেবে যারা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে। আটলান্টিক মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরের কোলঘেঁষা দলটির ধারাবাহিকতার পেছনে অন্যতম কারণ বুনো। কাতার বিশ্বকাপে যিনি হজম করেছেন মাত্র ১টি গোল।
শেষ ষোলোর ম্যাচে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়েছে মরক্কো। যেখানে স্প্যানিশদের তিনটি শটই রুখে দিয়েছিলেন বুনো। পর্তুগিজদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচেও গোলবারের নীচে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই ৩১ বছর বয়সী সেভিয়া গোলরক্ষক।
এফএইচ