কাতারেই শেষবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ খেলতে মাঠে নামছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। অপরদিকে নিজের শেষ বিশ্বকাপকে স্মরণীয় রাখতে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে এই ক্ষুদে ফুটবল জাদুকর। তাছাড়াও মেসির সামনে রয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর ডিয়াগো ম্যারাডোনাকে টপকে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ।
এখন পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন হিসেবে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন ম্যারাডোনা। চারটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে ২১টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। অন্যদিকে মেসি চারটি বিশ্বকাপে খেলেছেন ১৯ ম্যাচ। অর্থাৎ এই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ খেললেই ম্যারাডোনার এই নজির ভেঙে ফেলবেন মেসি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- ইনজুরিতে বিশ্বকাপ শেষ বেনজেমার
অপরদিকে বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার গোলের সংখ্যাকেও টপকে যেতে পারেন এই ফুটবলার। বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচ খেলে ৮টি গোল করেছেন ম্যারাডোনা। তার মধ্যে ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ২ গোল করেছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে করেছিলেন ৫ গোল। সেবার ম্যারাডোনার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। তাছাড়া ১৯৯০ বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে একটিও গোল দিতে পারেননি ডিয়াগো। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে ২ ম্যাচ খেলে এক গোল করেছিলেন তিনি। সেবারের বিশ্বকাপে মাঝেপথেই ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আর খেলতে পারেননি ম্যারাডোনা।
তবে মেসির সামনে সুযোগ আছে এবারের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকে টপকে যাওয়ার। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তার গোল সংখ্যা ৬টি। তার মধ্যে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচ খেলে ১টি গোল করেছেন তিনি। ২০১০ সালে ৫ ম্যাচ খেলে একটিও গোল পাননি মেসি। তাছাড়া ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ৪টি গোল করেছিলেন এই ফুটবলার। ২০১৮ সালে ৪ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন মেসি। অর্থাৎ, এ বারের বিশ্বকাপে ৩টি গোল করলেই ম্যারাডোনাকে টপকে যাবেন মেসি। হবেন বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি গোল করা আর্জেন্টাইন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- কাতারের মাঠে সাকিব-তামিম
এছাড়াও বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের মধ্যে গোলের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছেন ম্যারাডোনা। ৮টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। তার মধ্যে ৫টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে। মেসি এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন। অর্থাৎ, এ বারের বিশ্বকাপে চারটি অ্যাসিস্ট করলেই ম্যারাডোনাকে টপকে যাবেন সাবেক এই বার্সা তারকা।
এসটি