সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না আয়োজক দেশ কাতারকে। বিশ্বকাপের উদ্ধোধনী দিনেও সেই ধারা বজায় রাখল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম আল বায়াতে কাজ করতে যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকরা পাননি খাবার, পানি ও শৌচাগারে যাওয়ার সুযোগ-সুবিধা।
রোববার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, উদ্বোধনী ম্যাচের সময় ২০০ জনের বেশি শ্রমিককে বিভিন্ন স্টলে কাজ করানোর জন্য ভাড়া করা হয়। ম্যাচ শুরুর আগে সকাল থেকে তাদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে অপেক্ষারত শ্রমিকরা জানতেন না কি ধরণের কাজ করতে হবে তাদের।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- ‘বুট কেনার টাকা ছিলো না বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতার’
শুধু তাই নয়, শ্রমিকরা এই সময় পাননি খাবার ও পানি। ছিল না শৌচাগারে যাওয়ার মত কোনও সুযোগ। এমনকি শ্রমিকরা তাদের নিয়োগ কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে এক শ্রমিক জানান, ‘এটা খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা। আমাদের যে কাজ দিয়েছে, তারা জানিয়েছিল, সকাল ৯টার মধ্যে এখানে থাকতে হবে’।
অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন ভারতীয় শ্রমিক। তারা বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ৫৫ দিনের চুক্তিতে সেখানে কাজ করতে গেছেন। চুক্তি অনুযায়ী তাদের একবেলা খাবার ও প্রায় এক হাজার ডলারের বেতন দেওয়ার কথা রয়েছে। তাছাড়াও মাঠের বাইরে ছিলেন বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিক। যাদের দুর্ভোগের মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি।
বিজ্ঞাপন
বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রথম থেকেই কাতারে শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনা করে আসছে। বলা হয়, কয়েক লাখ অভিবাসী শ্রমিক মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দেশটিতে কাজ করে গেছেন। তবে কাতারের দাবি, তারা তাদের শ্রমআইন সংস্কার করেছে।
এফএইচ