মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে প্রথমবারের মতো বসতে যাওয়া বিশ্বকাপ আয়োজনের সমালোচনার বিপরীতে জবাবটা কড়াভাবেই দিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
গতকাল (শনিবার) দোহায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন ইনফান্তিনো। কাতারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে প্রায় সবগুলোরই জবাব দিয়েছেন ফিফা সভাপতি। বলেছেন, অন্য দেশে কী ঘটলো তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে ইউরোপিয়ান দেশগুলোর উচিৎ নিজেদের ইতিহাস তলিয়ে দেখা। অতীতে তারা কী কী মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে সেজন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত তাদের।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- অতীতকে ছাপিয়ে অনন্য মাত্রায় কাতার বিশ্বকাপ
ইনফান্তিনো বলেন ‘কাতারি, আরব, আফ্রিকান, সমকামী কিংবা প্রতিবন্ধী কেউ নই আমি। কিন্তু আজ নিজেকে কাতারি মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে আমি একজন আরব, আমি একজন আফ্রিকান, আমি একজন সমকামী, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী, আমি অভিবাসী শ্রমিক’।
কাতারকে নিয়ে একপেশে সামলোচনা মোটেও ভালো লাগছে না ইনফান্তিনোর। তিনি জানান, ‘এই একচোখা নৈতিক সমালোচনা হিপোক্রেসি ছাড়া কিছুই নয়’।
২০১০ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হওয়ার অধিকার লাভের পর মেগা প্রজেক্ট হাতে নেয় কাতার। দেশজুড়ে চলে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। রাস্তাঘাট, স্টেডিয়াম, টানেল বানিয়ে দেশের চেহারাই বদলে দেয় আরব দেশটি। তবে এসব উন্নয়নে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি ওঠে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- ইনজুরিতে বিশ্বকাপ শেষ বেনজেমার
গত বছর বৃটেনের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, কাতারে অন্তত সাড়ে ৬ হাজার অভিবাসী শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের সিংহভাগই ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালের। তবে গার্ডিয়ানের সেই প্রতিবেদন অস্বীকার করে কাতার।
মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উল্টো পশ্চিমাদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ইনফান্তিনো। সুইজারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ফিফার এই সভাপতি বলেন, ‘আমি ইউরোপিয়ান। নৈতিক উপদেশ দেওয়ার আগে আমাদের উচিৎ গত ৩ হাজার বছরে বিশ্বে আমরা যা যা করেছি সেজন্য পরবর্তী ৩ হাজার বছরের জন্য ক্ষমা চাওয়া’।
ইনফান্তিনো জানান, ‘কাতারকে রক্ষা করা আমার কাজ নয়। তারা নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে পারে। আমি ফুটবল, কেবল ফুটবলের কথা বলছি’।
এফএইচ