৬৪ বছর পর বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে উপস্থিতি ওয়েলস। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট না পেলেও এবার তারা কাতারে এসেছে কানাডা এবং মেক্সিকো, কোস্টারিকার সাথে লড়াই করে। অপরদিকে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ওয়েলসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে ম্যাচের প্রথম থেকেই গ্যারেথ বেলদের বিপক্ষে গতিময় খেলা উপহার দিতে থাকে গ্রেগ ম্যাথিউ বারহাল্টার শিষ্যরা। সাফল্যও মেলে। টিম ওয়েহর গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছে তারা।
দোহার আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আগ্রাসী ভূমিকায় গতিময় ফুটবল খেলে ওয়েলসকে চেপে ধরে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আক্রমণের বিপরীতে দুই মিনিটের ব্যবধানে জোড়া হলুদ কার্ড খায় দ্য স্টার্স অ্যান্ড স্ট্রাইপসের ডিফেন্ডার সার্জিনো ডেস্ট ও মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাককিনি।
বিজ্ঞাপন
এরপরও খেলায় ফিরতে পারেনি গ্যারেথ বেলরা। উল্টো ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে গোল হজম করে বসে ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ খেলা ই দ্রেইগিয়াউ (ড্রাগন)। ওয়েলসের ডি-বক্সের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ পাস দেন ফরোয়ার্ড টিমোথি উইয়াহকে। সেখান থেকে ওয়েলস গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
অপরদিকে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ওয়েলসের বিপদ বাড়ে অধিনায়ক গ্যারেথ বেল হলুদ কার্ড খেলে। ৪০তম মিনিটে মাঝমাঠে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনুস মুসাকে ফাউল করার কারণে রেফারি এই তারকাকে দেখান কার্ড।
প্রথমার্ধের শেষে দিকে আরও কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলো ওয়েলস রক্ষণভাগে এসে পরাস্ত হন যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় গ্রেগ ম্যাথিউ বারহাল্টার শিষ্যরা।
এসটি
বিজ্ঞাপন