রোববার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

বিশ্বকাপ সময়জুড়ে কাতারে লেকচার দেবেন ড. জাকির নায়েক

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০২:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল। ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত চলবে বিশ্বকাপের ২২তম আসর। সর্বকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট দেশটি। পাঁচ আরব দেশসহ মোট ৩২ দলের অংশ গ্রহণে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। অতীতকে ছাপিয়ে অনন্য মাত্রা পেয়েছে কাতার বিশ্বকাপ। এই আসরে দেখা যাবে এমন অনেক কিছু, যা ফুটবল বিশ্ব আগে কোনোদিন দেখেনি।

এই ব্যতিক্রমের মধ্যে এবার যোগ হলো ইসলামিক স্কলার ড. জাকির নায়েকের লেকচার। সৌদি মালিকানাধীন সংবাদ মাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, বিশ্বকাপের পুরো সময়জুড়ে কাতারে তিনি ইসলামিক লেকচার দেবেন। এক টুইটার পোস্টে ফয়সাল আল-হাজরি জাকির নায়েকের লেকচারের কথা জানান। 


বিজ্ঞাপন


সামাজিক মাধ্যমের বরাতে আল আরাবিয়া আরও জানায়, জাকির নায়েকের লেকচার প্রতিদিন চলবে।

জাকির নায়েক ইতোমধ্যে কাতারে পৌঁছে গেছেন বলে খবরে জানা গেছে। বিশ্বকাপ দেখতে আসা লাখো মানুষের মাঝে তার ভক্ত-অনুরাগীদের বড় একটি অংশ উপস্থিত থাকবেন বলে প্রত্যাশা রয়েছে। এ সময় তারা চাইলে ড. জাকির নায়েকের লেকচারও শুনতে পাবেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে জাকির নায়েকের ভক্ত অনুরাগী। তরুণ প্রজন্ম ও প্রায় সব বয়সীদের মাঝে তিনি জনপ্রিয়। তিনি একজন ভারতীয় ইসলামি চিন্তাবিদ, ধর্মপ্রচারক, বক্তা ও লেখক যিনি ইসলাম ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে কাজ করেন। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। যেটি পিস টিভি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে থাকে। যার মাধ্যমে তাঁর লেকচার প্রায় ১০কোটি দর্শকের নিকট পৌঁছে যায়। 


বিজ্ঞাপন


আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন ধর্ম ও বস্তুগত বিষয়ের সঙ্গে ইসলামের তুলনামূলক ব্যাখ্যা ও আলোচনার মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান ড. জাকির নায়েক। বিজ্ঞান ও ইতিহাসের উদ্ধৃতি দিয়ে তার আলোচনাও শ্রোতাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। ড. জাকির নায়েকের অন্যতম জনপ্রিয় থিম হলো পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থ ও বিজ্ঞানের আলোকে কোরআনকে যাচাই করা। 

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ উপলক্ষে নতুনভাবে সেজেছে কাতার। আরব ও ইসলামী স্থাপত্যশৈলীকে ধারণ করে প্রস্তুত করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ৮টি স্টেডিয়াম। রাজধানী দোহাসহ বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো হয়েছে মহানবী (স.)-এর হাদিস সম্বলিত ম্যুরাল। সামাজিক শিষ্টাচার নিয়ে মহানবী (স.)-এর প্রজ্ঞাপূর্ণ বাণীগুলো লেখা হয়েছে আরবি ও ইংরেজি ভাষায়। অর্থপূর্ণ হাদিসগুলো চলার পথে দর্শক ও পাঠকদের মনে তৈরি করবে ভিন্নরকম অনুভূতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছবি ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন


News Hub