সমীকরণটা ছিল বেশ সহজ। শেষ ষোলোতে পা রাখতে কানাডার বিপক্ষে জিততেই হবে মরক্কোকে। ড্র অথবা হার ফেলে দিবে কঠিন অনিশ্চয়তায়। এমন সমীকরণের ম্যাচে শুরু থেকেই দারুণ খেলা আফ্রিকার দেশটি কানাডার বিপক্ষে জয় পেয়েছে ২-১ গোলে। আর এতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে মরক্কোর নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা।
এদিকে ‘এফ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হয় বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচটি গোলশূন্য ব্যবধানে শেষ হলেও গ্রুপ টেবিলের দুই’য়ে থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েটরা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে আসছে বড় পরিবর্তন

দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামে কানাডা ও মরক্কো। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই লিড নেয় মরক্কো। একটি আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে কানাডার গোলরক্ষক বক্সের বাইরে ভুল পাস দেন। এই সুযোগে বল পেয়ে যান হাকিম জিয়েচ। কানাডার ফাঁকা গোলপোস্টে দুর থেকে হাকিম জিয়েচের গোলেই প্রথম লিড পায় আফ্রিকার দলটি। এর ১১ মিনিট পরই ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় কানাডা। তবে টাওন বুখানানের সামনে দিয়ে যাওয়া বল পায়ে না লাগায় গোলের দেখা পায়নি দলটি।
তবে কানাডা ম্যাচে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া করলেও ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি আফ্রিকার দলটি। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে ইউসেফ নেসারির শট কানাডার গোলরক্ষকের হাতের নিচ দিয়ে জড়ায় জালে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- ফুটবল ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়লেন ওচোয়া
ম্যাচের ৪০তম মিনিটে ব্যবধান কমায় কানাডা। তবে গোলটি আসে মরক্কো ফুটবলার নাইফ আগুয়ের্ডের ভুলে। বাম দিক থেকে কানাডার স্যামুয়েল আডোকুজবে যে শট নিয়েছিলেন তাতে পা চালান মরক্কো ডিফেন্ডার নায়েফ আগুয়ার্ড। আর এতেই বল গতি পরিবর্তন করে ঢুকে পড়ে জালে। এই গোলটি এবারের বিশ্বকাপে প্রথম আত্মঘাতী গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণভাগে মনোযোগ বাড়ায় মরক্কো। ম্যাচের ৭১তম মিনিটে সমতায় ফেরার বড় সুযোগটি হারায় কানাডা। হাচিনসনের হেড ক্রসবারে লেগে, গোললাইনে পড়ে ফিরে আসে। এরপর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অ্যালিস্টার জন্সটন হেড একটুর জন্য লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। সেই যাত্রায় রক্ষা পায় মরক্কো। এরপর আর কোনো দল গোল করতে না পারায় ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফ্রিকার দেশটি। এই ম্যাচ জিতে ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবারের মতো গ্রুপ পর্ব পার করল মরক্কো।
অন্যদিকে দিনের আরেক ম্যাচে কাতারের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মুখোমুখি হয় বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের প্রথমার্ধ থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি কেউ। সবশেষ গোলশূন্য ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যায় এই দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে আগ্রাসী হয়ে উঠে দুই দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে বড় সুযোগ হাতছাড়া হয় বেলজিয়ামের। ডি ব্রুইনের পাস ধরে বক্সে ঢুকে শট নেন কারাসকো, প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পায়ে বাধা পাওয়া বল পেয়ে যান লুকাকু। তবে তার তার ডান পায়ের শট লাগে পোস্টে। এর ঠিক দুই মিনিট পর আরেকটি সুযোগ পেয়ে কাছ থেকে হেড করেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আবারও দলকে হতাশ করেন লুকাকু। ডান দিক থেকে তোরগ্যান আজারের ক্রস দূরের পোস্টে বুক দিয়ে নামিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি এই ইন্টার মিলান ফুটবলার। সবশেষ আর কোনো দল গোল করতে না পারায় গোলশূন্য ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্রোয়েশিয়া ও বেলজিয়াম।
‘এফ’ গ্রুপে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা মরক্কো। দুই ড্র ও এক জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া।
এফএইচ































































































































































































































































































































































































































































