১৯৮৬ সালে শেষবার প্রয়াত দিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফরাসিদের হারিয়ে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর সেই শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে লিওনেল মেসির দল। ফ্রান্সের বিপক্ষে সেই ম্যাচে আলবিসেলেস্তাদের জয়ের নায়ক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেস। তবে এরপরই আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষকের উদযাপন নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা ফুটবল দুনিয়া।
স্বপ্ন জয়ের পর ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে একের পর এক ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করতে থাকেন মার্টিনেস। যা পরবর্তীতে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। অবশেষে সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন এমবাপে। জানালেন, মার্টিনেসের মতো ফুটবলারের কাণ্ড নিয়ে অকারণে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চান না তিনি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- টি-টোয়েন্টিতে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়ন পেলেন যারা
ফরাসি লিগে গতকাল (বুধবার) রাতের ম্যাচে পেনাল্টি থেকে দলের জয়সূচক গোলটি করেন এমবাপে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘একজন ভালো ফুটবলার হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ও (মার্টিনেস) কীভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে সেটা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। তবে আমি এসব ফালতু বিষয়ে অকারণে কথা বলে সময় নষ্ট করতে ও শক্তিক্ষয় করতে চাই না।’
কাতার বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর থেকে এমবাপেকে নিয়ে বিদ্রুপ যেন থামছেই না মার্টিনেসের। দেশে ফিরে বিজয় উৎসবের সময় তার হাতে দেখা যায় একটি পুতুল। যার মুখে এমবাপের ছবি কেটে বসিয়ে দিয়েছিলেন মার্টিনেস।
বিজ্ঞাপন
তার এমন আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক বলে বিবৃতি দেয় ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থা। এমনকি এর প্রতিবাদ জানিয়ে আর্জেন্টাইন ফুটবল সংস্থার সভাপতি ক্লাদিয়ো তাপিয়াকে চিঠি পাঠান ফরাসি ফুটবল সংস্থার সভাপতি নোয়েল লে-গ্রায়েট। তাছাড়াও ফাইনাল জয়ের দিনে আলবিসেলেস্তাদের ড্রেসিংরুমে এমবাপেকে ব্যঙ্গ করে গান গাইতেও দেখা যায় মার্টিনেসকে।
আরও পড়ুন- ক্রীড়াঙ্গন হারিয়েছে যাদের
তাছাড়াও বুধবার রাতের ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে কথা বলেন এমবাপে। জানান, ‘আমি ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মেসিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। ও (মেসি) জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার পেল। যে সুযোগ আমার কাছেও ছিল। তবে আমি ব্যর্থ হয়েছি। লিও’র ফেরার অপেক্ষায় আছি। আমরা একসঙ্গে নতুন লক্ষ্য স্থির করব।’
এফএইচ