হঠাৎ আগুনের ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে। আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান দমকল বাহিনীর একটা ইউনিট। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আদালত চলাকালীন এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
আদালতে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আনুমানিক দুপুর দেড়টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদের একটি কোণায় ময়লার স্তুপে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। এ সময় হালকা বাতাসও ছিল। বাতাসের কারণে দ্রুতগতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ছাদের উপরে থাকা ময়লা আবর্জনাতে। ছাদটির বেশিরভাগ অংশে ময়লা আবর্জনা ও ঘাস শুকিয়ে থাকায় আগুন জ্বলতে থাকে।
এসময় আদালতের দায়িত্বরতরা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ফোন কলে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে যান জেলার সংবাদকর্মীরা। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে ছাদের বেশিরভাগ অংশে ময়লা আবর্জনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাশেই সিগারেটের প্যাকেটের স্তুপ পড়ে আছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা, সিগারেটের আগুন থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। তারা আরও জানান, এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে ছাদের উপরে থাকা ময়লা আবর্জনা পুড়ে ছাই হয়েছে। তবে অসাবধানতার কারণে অন্যান্য ভবনেও আগুন লেগে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। সেই ভবনগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও মামলার সকল কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যেত। তাই কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ফায়ার স্টেশনের ওয়্যার হাউজ ইন্সেপেক্টর মো. মোজাম্মেল হক ঢাকা মেইলকে জানান, অসাবধানতার কারণেই এই আগুনের সূত্রপাত। ছাদের উপরে সিগারেটের প্যাকেটের স্তুপ দেখা গেছে। হয়তো নিয়মিত সেখানে ধূমপান করা হয়। বর্তমান সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে। তাই সকলে সচেতন হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে জেলা দায়রা ও জজ আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি না হলেও তারা জানান কী কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শানাক্ত করা হবে।
প্রতিনিধি/জেবি