প্রথম ২১ মিনিটেই দুই গোল হজম করে ধাক্কা খেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে সেই ধাক্কা সামলে ওঠার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক কেভিন ডি ব্রুইনা। একটি গোল করে ও দুটি গোলে সরাসরি অবদান রেখে দলের হয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের নেতৃত্ব দেন এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৫-২ গোলে হারায় পেপ গার্দিওলার দল।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) প্যালেসের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিকরা চমকে দেয় সিটিকে। ম্যাচের ৩ মিনিটে এবেরেচি এজে ও ২১ মিনিটে ক্রিস রিচার্ডস গোল করে এগিয়ে দেন প্যালেসকে।
বিজ্ঞাপন
তবে ৩৩ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে গোল করে ব্যবধান কমান ডি ব্রুইনা। এরপর ৩৬ মিনিটে তার বাড়ানো ক্রস থেকেই ওমর মারমুশ গোল করে সমতায় ফেরান ম্যান সিটিকে।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ৮০ সেকেন্ডের মাথায় আবারও ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন মাতেও কভাচিচ, এনে দেন সিটিকে লিড। এরপর গোলরক্ষক এডারসনের লং বল থেকে গোল করে ব্যবধান ৪-২ করেন জেমস ম্যাকঅটি।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে নিকো ও’রেইলি গোল করে দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন। এর মাধ্যমে লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে আসে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সিটির পয়েন্ট এখন পঞ্চম স্থানে থাকা চেলসির চেয়ে দুই বেশি, যদিও চেলসি একটি ম্যাচ কম খেলেছে।
বিজ্ঞাপন
এই জয়ে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচজুড়ে দাপুটে পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন অধিনায়ক ডি ব্রুইনা, যার নেতৃত্বে আবারও প্রমাণ করেছে চ্যাম্পিয়নরা সহজে হারে না।
জেমস ম্যাকঅটির গোলটি এসেছিল গোলকিপার এডারসনের সরাসরি লং বল থেকে, যা তার চলতি প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে চতুর্থ অ্যাসিস্ট। একজন গোলরক্ষকের পক্ষে এতগুলো অ্যাসিস্ট বিরল হলেও, বল পায়ে দারুণ দক্ষ এডারসন যেন সেটাকেই স্বাভাবিক করে তুলেছেন।
তবে ম্যাচের শেষদিকে দুঃসংবাদ পায় ম্যানচেস্টার সিটি। ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ব্রাজিলিয়ান এই গোলরক্ষক। তার চোটের মাত্রা কতটা গুরুতর, তা এখনও জানা যায়নি। তবে মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময় সামনে রেখে এডারসনের ইনজুরি গার্দিওলার জন্য কিছুটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এডারসনের অ্যাসিস্টে গোল করে সিটির লিড বাড়িয়ে নিয়েছিলেন ম্যাকঅটি, আর সেই মুহূর্তে মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গোলকিপারের প্রশংসা। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেও তার অবদান ম্যাচে ছিল চোখে পড়ার মতো।