বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

অফসাইড ধরতে কাতার বিশ্বকাপে থাকছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা 

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২২, ০৬:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

অফসাইড ধরতে কাতার বিশ্বকাপে থাকছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা 

২০২২ বিশ্বকাপের আলোচনার সঙ্গে জড়িত ছিল ‘সেমি–অটোমেটিক’ অফসাইড সিস্টেমের নাম। কথা হচ্ছিল কাতার বিশ্বকাপে যেন দ্রুত ও নিখুঁতভাবে অফসাইডের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সে জন্য ব্যবহার হতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। আজ শুক্রবার সেটার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেই দ্রুততম সময়ে ও নিখুঁতভাবে অফসাইডের সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যাবে কাতার বিশ্বকাপে। 

এই প্রথমবারের মতো এত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেখা যাবে ফিফা বিশ্বকাপে। ফুটবলে এর আগে থেকে ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) পদ্ধতি চালু থাকলেও এবারই প্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে দেখা যাবে মরুর বিশ্বকাপে। তবে এ  পদ্ধতি গত বছর কাতারেই অনুষ্ঠিত আরব কাপ আর ক্লাব বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হয়েছিল। যেখানে ভিএআরের অফসাইড সিদ্ধান্ত নিতে আগের ৭০ সেকেন্ড থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমে আসে। 


বিজ্ঞাপন


‘সেমি–অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি‘  এমন একটি টুল যা ভিএআর-কে দ্রুত এবং আরও সঠিক অফসাইড সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। এ প্রযুক্তির সাহায্যে খেলার সময়ে খেলোয়াড়দের আপেক্ষিক অবস্থান স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করে।

উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া কাতার বিশ্বকাপের সব ম্যাচে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। 
 
বর্তমানে ভিএআর শুধুমাত্র একটি অফসাইড সিদ্ধান্ত নিতে সম্প্রচারিত টিভি ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারে। আর ‘সেমি–অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি’তে স্টেডিয়ামের ছাদের নিচে বসানো হবে বেসপোক ক্যামেরা।

এই ক্যামেরাগুলো ২২ খেলোয়াড়ের সর্বোত্তম ট্র্যাকিং প্রদান করতে সক্ষম, মাঠে তাদের সঠিক অবস্থান গণনা করতে ডেটা পয়েন্ট রেকর্ড করবে ক্যামেরা গুলো। এ ছাড়া বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ম্যাচ বল অ্যাডিডাস 'আল রিহলা’র ভেতরে থাকবে  একটি সেন্সর। এটি প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার তথ্য পাঠাতে থাকবে, যা নিখুঁত কিক পয়েন্ট নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। 

আর স্টেডিয়ামের ছাদে থাকা ১২টি শতভাগ সিংক্রোনাইজড মাল্টি ট্র্যাকিং ক্যামেরা বল আর খেলোয়াড়ের ২৯টি পয়েন্টে নজরদারি করবে, সঙ্গে সঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার তথ্যও পাঠাতে থাকবে সার্ভারে। যা নিখুঁতভাবে খেলোয়াড়দের পজিশন ধরতে পারবে।  


বিজ্ঞাপন


২৯ টি ডেটা পয়েন্টের মধ্যে খেলোয়াড়দের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিশেষ করে- উপরের বাহু, পায়ের আঙ্গুল, হাঁটু,  মাথা ইত্যাদি যা অফসাইড সিদ্ধান্তের জন্য প্রাসঙ্গিক সবকিছুর নজরদারি করবে ক্যামেরাগুলো। তাই সিস্টেমটি যে কোনো মুহূর্তে একজন খেলোয়াড়ের সঠিক অবস্থান জানাতে সক্ষম থাকবে। 

এ পদ্ধতিতে সমস্ত খেলোয়াড় এবং বলের ডেটা এআইয়ের সাহায্যে রিয়েল টাইমে প্রসেস করা হয়। যা একটি অফসাইড শনাক্ত হলে ভিএআরে একটি সতর্কতা পাঠানো হবে। তারপর ভিএআর যাচাই করে জানাবে কিক পয়েন্ট এবং অফসাইডের সঠিক লাইন। পরে মাঠে থাকা রেফারি ভিএআরের পাঠানো তথ্যমতে  অফসাইডের  বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। 

এ ব্যাপারে ফিফা রেফারিদের কমিটির চেয়ারম্যান পিয়েরলুইজি কলিনার বলেছেন,'ভিএআর প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করবে ‘সেমি-অটোমেটিক’ অফসাইড প্রযুক্তি। আমরা ভিএআরের আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে কাজ করছি। তবে কখনও কখনও কোনো ঘটনা পরীক্ষা বা রিভিউয়ে অনেক সময় লাগে; বিশেষ করে অফসাইডের ক্ষেত্রে, আমরা এ বিষয়ে সচেতন আছি। ' 

এসও 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর