রোববার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

নওগাঁয় মাঝারি ও ছোট গরুতে ক্রেতার ঝোঁক

সুমন আলী
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৩, ১০:২৪ এএম

শেয়ার করুন:

নওগাঁয় মাঝারি ও ছোট গরুতে ক্রেতার ঝোঁক

শেষ মুহূর্তে নওগাঁর বিভিন্ন পশুর হাটে জমে উঠেছে বেচা-কেনা। ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষিতে সরগরম পশুর হাট। বিশেষ করে মাঝারি ও ছোট গরুর প্রতি ক্রেতাদের চাহিদা বেশি।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৩৬টি হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে ২৭টি স্থায়ী ও ৯টি অস্থায়ী।


বিজ্ঞাপন


বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর ছোট ও মাঝারি গরুর বেশি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা তাদের বাজেট অনুযায়ী ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ছোট-মাঝারি গরু বেশি কিনছেন। এই দামের গরু দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর বড় গরুর ক্রেতা তুলনামূলক কম হওযায় বড় গরু সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি ও রানীনগর উপজেলার ত্রিমোহনীসহ কয়েকটি কোরবানির পশুর হাটগুলো ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুগুলো ১৫-২০ হাজার টাকা বেশিতে কিনতে হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি কারণে গরুর দাম কিছুটা বেশি।

চকগৌরি হাটে গরু কিনতে আসেন মোহাম্মাদ শহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, গত বছর যে গরু ১ লাখ ১২ হাজার টাকায় কিনি। এবার একই আকারের গরুর দাম চাচ্ছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। গতবারের চেয়ে এবার ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দাম অনেক বেশি।

ইসমাইল হোসেন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে অনেক গরু। এরপরও ব্যাপারীরা দাম কমাচ্ছেন না। কয়েকটা গরু দেখেছি, কিন্তু এখনো কেনা হয়নি। তিনি বলেন, গত ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় যে গরু পাওয়া গেছে সেই গরু ১ লাখ ২০-৩০ হাজার টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না গরু। এবার দাম খুব বেশি। এই সাইজের গরুর ক্রেতাও বেশি। তাই ব্যাপারীরা ছাড়ছে না।


বিজ্ঞাপন


একরামুল হক নামে এক ক্রেতা ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় গরু কিনে ফিরছিলেন। তিনি বলেন, এবার গরুর দাম বেশি ভাই। গত ঈদে এই গরুর দাম ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি হতো না। এবার হাট ঘুরে বুঝলাম ছোট ও মাঝারি গরুর দাম ১৫-২০ হাজার টাকা বেশি।

Nowgon

শফিকুল নামে এক বিক্রেতা বলেন, ক্রেতারা ছোট ও মাঝারি ধরনের গরু এবার পছন্দ করছেন। এই দামের গরু একটু দামদর করলেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি গরু এনেছি। এর মধ্যে এইটি গরুর দাম ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম হেঁকেছি, ক্রেতারা বিভিন্ন দাম বলছেন। দামে মিললে দিয়ে দেব।

গরু বিক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, গত বারের দামের সঙ্গে এবারের দাম মেলালে হবে না। এক বছরের ব্যবধানে গরুর সব ধরনের খাবারের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু গরুর দাম ততটা বাড়েনি। নয়তো এক লাখ টাকার গরুর দাম দুই লাখ হতো।

গরু বিক্রেতা মিলন হোসেন বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গো খাদ্যের দাম অনেক বেশি। তার ওপর গাড়ি ভাড়া, কর্মীদের বেতনসহ অনেক খরচ আছে। সেই হিসাবে একটি গরুর পেছনে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এ কারণে এবার গরুর দাম একটু বেশি। খুব বেশি লাভ হয় এমন না।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ৩৩ হাজার খামারে প্রায় ৭ লাখ বিভিন্ন জাতের পশু লালন-পালন করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। জেলায় প্রায় ৩ লাখ ২৯ হাজার পশু জবাই হবে। অতিরিক্ত পশু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর