ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির পর যথাসময়ে এর বর্জ্য অপসারণ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এই বর্জ্য অপসারণের কাজ করে থাকে। প্রতি বারের ধারাবাহিকতায় এবারও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বর্জ্য অপসারণে দুপুর থেকে কাজ করছে।
প্রতি বছর বর্জ্য অপসারণ নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও এবার দুই সিটির তৎপরতা বেশ সন্তোষজনক। সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকার বেশির ভাগ বর্জ্য অপসারণ কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। ডিএনসিসির ৮০ ভাগ এবং ডিএসসিসির ৭৫ ভাগ বর্জ্য ইতোমধ্যে অপসারণ হয়েছে। রাতের মধ্যেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১০ জুলাই) বিকেলে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আওতাভুক্ত এলাকায় ইতোমধ্যে কোরবানির বর্জ্যের ৮০ ভাগ অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। ১১টি ওয়ার্ডে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ওয়ার্ডগুলো হলো ৬, ১৩, ১৯, ২৫, ৩১, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৫২, ৫৩ ও ৫৪।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কোরবানি পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিকেল ৬টা পর্যন্ত ৭৫ ভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের। তিনি জানান, ডিএসসিসি আওতাধীন ১০, ৫৩ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। অন্য ওয়ার্ডগুলতেও কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
আবু নাছের আরও বলেন, কোরবানির পশু ও পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সুচারূভাবে সম্পাদন করতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। মেয়র মহোদয় এই কার্যক্রমের সরাসরি তদারকি করছেন।
বিজ্ঞাপন
গত বছর ঈদুল আজহার দিন কোরবানির পশুর তরল ও কঠিন বর্জ্য এলোমেলোভাবে রাস্তা ও বাসা বাড়ির সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেলেও এ বছর চিত্র কিছুটা ভিন্ন। বর্জ্য অপসারণে গতি এসেছে বলছেন বাসিন্দারা।
আজিমপুরের বাসিন্দা আলী আজম ঢাকা মেইলকে বলেন, বর্জ্য কার্যক্রমে গতি রয়েছে। তবে কিছু মানুষ দেরি করে কোরবানি করায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে কর্মীদের। কার্যক্রম গত বছরের থেকে সন্তোষজনক বলে জানান এই বাসিন্দা।
সরেজমিনে গুলিস্তান, কলাবাগান ও সাইন্সল্যাব এলাকা ঘুরে পশুর রক্ত, গোবর, হাড়, চামড়া ও অন্যান্য অবশিষ্টাংশ পড়ে থাকার দৃশ্য তেমন চোখে পড়েনি। সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি এলাকাবাসী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা গেছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় জনগণ অনেকে নিজেদের বর্জ্য নিজেরাই দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করেছেন। এছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে পারছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরাও।
ডিএইচডি/জেবি