গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ পশুর হাটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লবণ বিক্রি করলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান।
কোরবানির পশুর চামড়ার অপচয় রোধ করতে বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে মীরগঞ্জ হাটে লবন বিক্রি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এসময় ক্রেতাদের হাতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত ব্যাগে লবণ তুলে দেওয়া হয়।
তিনি চামড়া সংরক্ষণে লবণ ক্রয়ের জন্য মাইকে প্রচার চালানোর নির্দেশনাও দেন।
জানা যায়, অনেক সময় সঠিকভাবে সংরক্ষণ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার কারণে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয়। তাই কোরবানি করা পশুর চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশেষ উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে শুরুর দিন থেকেই চামড়া সাময়িকভাবে সংরক্ষণের জন্য পশুর সঙ্গে সঙ্গে লবণও কিনেছেন সচেতন ক্রেতারা।
গরুর হাটের পাশাপাশি লবণ বিক্রির জন্য হাটগুলোতে পয়েন্ট করা হয়েছে। এই পয়েন্ট থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে লবণ বিক্রি করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ক্রেতারা বলেন, এভাবে আগে কখনও চামড়ার জন্য লবণ কেনা হয়নি। ফলে হঠাৎ যদি প্রয়োজন হয়, তখন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়তেন। এখন হাতের কাছে পেয়ে সুলভে ও সহজে নিয়ে যাচ্ছেন তাতে আর ঝামেলা পোহাতে হবে না।
লবণ ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় লবণ সংকটে কোরবানির পশুর চামড়া নষ্ট হয়। প্রশাসনের এই উদ্যোগের ফলে চামড়ার মতো মূল্যবান সম্পদের অপচয় কমবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, জবাই করা পশুর চামড়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার পশুর চামড়া ঢাকার ট্যানারি কারখানাগুলোতে পৌঁছাতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যায়। তাই গরু কেনার সঙ্গে যারা চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণ কিনতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/এসএস

















































































































































































































































































































