বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আদরের ধনের দাম পাঁচ  লাখ হাঁকাচ্ছেন লালন

বোরহান উদ্দিন
প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২২, ০৪:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

আদরের ধনের দাম পাঁচ  লাখ হাঁকাচ্ছেন লালন

ঢাকায় ২৫বছর ধরে গরু নিয়ে আসেন শামসুল আলম। কোরবানির হাঁট আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আগেই প্রতিবছর ঢাকার ধুপখোলা মাঠে গরু নিয়ে হাজির হন ঝিনাইদহের এই গরু বেপারী। বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যে গরু নিয়ে আসতেন লালন বেপারী। ধীরে ধীরে গরু দেখভালের দায়িত্ব নিতে হয়েছে ২৫ বছরের লালনকে। এবছর রাজধানীর পোস্তাগোলা-শ্মশান ঘাটে নিয়ে নিজেদের পাশাপাশি আত্মীয় স্বজন মিলে ৮০টি গরু নিয়ে এসেছেন লালনরা।

তবে এগুলোর মধ্যে বড় গরু লালনদেরই। এরমধ্যেও সবচেয়ে বড় গরুটি লালনের বেশ শখের। ছোট্ট শিংয়ে আর লাল রঙের স্বাস্থ্যবান এই গরুটি লালন পালন করে বড় করলেও নিয়ে আসতে হয়েছে বিক্রির জন্য। যার দাম হাঁকাচ্ছেন ৫লাখ টাকা।


বিজ্ঞাপন


আকারে বড় গরুর আলাদা আলাদা নামে ডাকার খবর প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু লালন বিশাল আকৃতির গরুটির কোনো নাম না দেয়নি। তবে এটি তার কাছে আদরের ধন!

ঢাকা মেইলকে বললেন, ‘কোনো নাম দেয়নি। কিন্তু ও আমার সবচেয়ে প্রিয়। আদরের ধনও বলতে পারেন। দুইবছর ধরে গোয়ালে তিলেতিলে বড় করেছি। অনেক সময় গরু লাথি দেয়, গুতা দেয় ও কোনোদিন তেমন কিছু করেনি।’

লালনরা শ্মশান ঘাটে গত বুধবার গরু নিয়ে এসেছেন। একসঙ্গে অনেকগুলো গরু নিয়ে আসায় হাটের ইজারাদাররাও তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তখনও বাজারে গরু ওঠানোর সুযোগ না থাকায় মূল সড়কের ভেতরে বাঁশের খুটি পুতে তাদের গরু রাখার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

রোববার দুপুরে ঢাকা মেইলকে টেলিফোনে লালন বলেন, কয়েকটা গরু বিক্রি হলেও এখনো আমার বড় গরু বিক্রি হয়নি। ৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি, ২ লাখ ৮০হাজার পর্যন্ত দাম বলেছে।


বিজ্ঞাপন


কত হলে বিক্রি করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাজারে গরুর সব খাবারের দাম বেশি। আগের চেয়ে দিনে ডাবল দামে খাবার কিনতে হয়েছে। এই কারণে দাম বেশি হবে এবার। কত বিক্রি করতে পারবো সিউর না, তবে এখনো কাছাকাছি দাম ওঠেনি।’

এদিকে শ্মশান ঘাটের হাটে ধীরে ধীরে গরু আসতে শুরু করেছে। হাট শুরুর বেশ আগেই এখানকার ইজারাদারের লোকজন পুরো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।

অন্যদিকে যারা গরু নিয়ে আসেননি তাদের কেউ কেউ বাঁশের খুটিতে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর লিখে রেখেছেন। যাতে কেউ এখানে গরু না রাখেন।

kurbani

ইজারাদারদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সবার জন্য সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে চান। যাতে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি না হয় সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। পুরো হাট সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।

শ্মশান ঘাট-পোস্তাগোলার এই হাটে ৭হাজারের মতো গরুর ধারণ ক্ষমতা আছে বলে ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন ইজারাদার মঈন উদ্দিন চিশতী।

বিইউ/ একবি
 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর