মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

শেরপুরে শেষ মুহূর্তে ‘খাইট্টা বিক্রি’র ধুম

নাঈম ইসলাম
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৩, ০৯:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

শেরপুরে শেষ মুহূর্তে ‘খাইট্টা বিক্রি’র ধুম

শেষ মুহূর্তে ভিড় বেড়েছে মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত গাছের গুঁড়ি বা খাইট্টা বিক্রিতে। এটি স্থানীয়দের কাছে কাটলি, খুটা, ডুম নামেও বেশ পরিচিত। তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ, গতবারের তুলনায় এবার বেড়েছে গুঁড়ির দাম। বিক্রেতারাও স্বীকার করলেন, আগের চেয়ে কমেছে গাছের পরিমাণ, এজন্য বাড়তি দামে কিনে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন তারা।

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এরইমধ্যে শেরপুরে গাছের গুঁড়ি বা খাইট্টার বেচাকেনা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। মূলত পশু জবাইয়ের পর মাংস কেটে টুকরা করার কাজে ব্যবহৃত হয় এই খাইট্টা। 


বিজ্ঞাপন


সাধারণত মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ঈদ উপলক্ষে এসব বিক্রি করেন। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১২, ১১, ১০ ও ৯ইঞ্চি খাইট্টা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। গতবার যা বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। জেলায় ২০টি স্থানে বিক্রি হচ্ছে এসব খাইট্টা।

আখের মামুদ বাজারের আবুল কাশেম স'মিলের প্রোপাইটর মনি মিয়া বলেন, সাধারণত তেঁতুল ও বেল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি এসব গাছের গুঁড়ি হলেও স্থানীয়দের কাছে খাইট্টা নামেই পরিচিতি বেশি। আর আগের থেকে কমেছে তেঁতুল ও বেলের গাছ। যার কারণে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে এইসব গাছ। এজন্য গতবারের চেয়ে বেড়েছে খাইট্টার দাম।

Khaitta

প্রায় ২০ বছর ধরে ঈদের আগে এসব খাইট্টা স্থানীয় বাজার ও রাজধানী ঢাকায় বিক্রি করে নবীনগর মোড়ের বাসিন্দা আসু মিয়া (৭০)। তিনি বলেন, এসব খাইট্টা তেঁতুল ও বেলের গাছের গুড়ি সবচেয়ে শক্ত। আর এখন আগের মতো তেঁতুল ও বেলের গাছ পাওয়া যায় না। তাই পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে এইসব গাছ। এজন্য গতবারের চেয়ে বেড়েছে খাইট্টার দাম। আমাদের খরচও এখন বেশি।


বিজ্ঞাপন


ঈদের আগ মুহূর্তে চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে, গতবারের তুলনায় দাম বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

আখের মামুদ বাজারে খাইট্টা কিনতে আসা মাওলানা ক্বারি মুহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, আমার দুটি খাইট্টা লাগে। গতবারের চেয়ে এবার দিগুণ দাম চাচ্ছে। তারা বলছে এবার খরচ বেশি হয়েছে।

আরেক ক্রেতা এরশাদ আলম বলেন, গতবার যে খাইট্টা ২০০ টাকা দিয়ে কিনেছি তা এবার ৩৫০ টাকা করে কিনলাম।

শেরপুর চেম্বার অব কর্মাসের সদস্য সোহেল রানা বলেন, প্রতিবছর আমাদের নবীনগর মহল্লায় প্রায় দুই থেকে তিন হাজার খাইট্টা বানানো হয়। যা রাজধানীতে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর