কোরবানির জন্য পশু কিনলেও সব কাজ শেষ করতে প্রয়োজন হয় নানা অনুসঙ্গের। এই যেমন ঈদের দিন পর্যন্ত পশুর খাওয়া দাওয়ার জন্য গোখাদ্য। আবার কোরবানির পর জবাইয়ের জন্য ধারালো ছুরি। মাংস কাটার জন্য চাপাতি। হাড় কাটার সুবিধার্থে প্রয়োজন হয় গাছের গুঁড়ি। এসব রাখার জন্য দরকার পড়ে চাটাইয়ের।
গ্রামে এসবের অনেক কিছু হাতের নাগালে থাকলেও রাজধানীতে কোরবানি দেওয়া নাগরিকদের সবকিছুই কিনতে হয়। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ কোরবানির সময় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এসব নিয়ে হাজির হন অলিতে গলিতে। কিন্তু এসবের দামটা বেশ চড়াই থাকে সবসময়।
বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর একাধিক হাট ও আশপাশের এলাকায় দেখা গেছে গুঁড়ি, শুকনো ও কাঁচা ঘাস, চাটাই, ভূসি, গরু-ছাগল সাজাতে ঝুনঝুনি, জরির ফিতা, মালাসহ নানান সামগ্রী নিয়ে বসে আছেন অনেকে। চলছেও বেশ।
যেমন ছোট আকারের একটি গাছের গুঁড়ি ২০০ টাকা, আকারে একটু বড় হলে ৫০০ টাকা লাগবে কিনতে। আর চাটাই প্রতিটি ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
গত ৩-৪ দিন ধরে গরুর হাট বসার পরপরই মৌসুমি বিক্রেতারা গ্রামাঞ্চল থেকে গো-খাদ্য ও কোরবানির এসব অনুসঙ্গ নিয়ে আসছেন ঢাকায়।

বিজ্ঞাপন
তারা বলছেন, এসময়ে এসব জিনিসের দরকার। অন্য কাজে ফায়দা হবে না। তাই কিছু টাকা পুঁজি দিয়ে কয়েকদিনের জন্য ব্যবসা করার চেষ্টা।
রায়সাহেব বাজার মোড়ে কথা হয় এমন মৌসুমি ব্যবসায়ী রিপন মিয়ার সঙ্গে। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ভ্যান চালাই সবসময়। এখন কাজ নেই তাই এই ব্যবসা করছি। গরুর খাবারের দাম বাড়ছে। এক কেজি কুড়া ২০ টাকা, লবণ ২০ টাকা, চালের খুদ ৩৫ টাকা, ডালের ভূসি ৫৫ টাকা, ভূট্টার ভূসি ৬০ টাকা, গমের ভূসি ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করতেছি। বেচাকানা ভালোই হইতেছে।
তিনি বলেন, শুকনো খড় এক আঁটি ৫০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা ঘাস ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে কয়েকজনকে দেখা গেছে চাটাই ও তেতুল কাছের গুড়ি নিয়ে বসে আছেন। বড়-ছোট ও মাঝারি আকারের চাটাই এনেছি। একেকটির দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন।
মানিকগঞ্জ থেকে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, মাংস কাটতে গাছের গুঁড়ি লাগে। তেতুল গাছের না হলে লোকজন নিতে চায় না। গাছের গুঁড়ি ২০০ থেকে ৫০০টাকা পর্যন্ত আছে। ৩০ হাজার টাকার মতো ব্যবসায় খাটালাম। দেখি কেমন বিক্রি হয়।
অন্যদিকে গরু সাজানোর জন্য কাগজের মালা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকায়। জরির মালা ৩০ থেকে ২০০ টাকা, কাপড়ের মালা ১০০ থেকে ২০০ টাকা, ঝুনঝুনির মালা ১০০ থেকে ২০০ টাকা।
বিইউ/এএস

















































































































































































































































































































