বর্তমান সময়ে দেশের বাজারে এক মণ ধানের দাম ৯০০ থেকে ১১শ’ টাকা। এই হিসেবে প্রতিকেজি ধানের দাম পরে ২৩ থেকে ২৮ টাকা। আর ক্ষেত থেকে ধান কাটার পর যে খড় থেকে যায়, সেগুলো বিক্রি হয় গো-খাদ্য হিসেবে। সারাবছর এই খড় নামমাত্র দামে বিক্রি হলেও ঈদুল আজহা উপলক্ষে এর দাম এখন আকাশচুম্বী।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ধানের দামের প্রায় দ্বিগুণ দরে বিক্রি হচ্ছে খড়। ফলে রাজধানীতে অনেকেই এখন বনে গেছেন মৌসুমি খড় ব্যবসায়ী। এতে নগরজুড়েই গড়ে উঠেছে খড় বিক্রির শত শত অস্থায়ী দোকান।ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমি এই ব্যবসা লাভজনক। তাই কোরবানি ঈদকে ঘিরে তারা আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই খড় কিনে এনেছেন।
বিজ্ঞাপন
মোহাম্মদপুর এলাকার মৌসুমি খড় ব্যবসায়ী রায়হান হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘প্রতিবছরই ব্যবসা করি। লাভ ভালো হয়। এবারও নিয়ে আসছি। দুই জায়গায় দোকান বসাইছি।’
এক আঁটি খড় কেমন দামে কিনেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খড় বিক্রিতে বিনিয়োগের সমপরিমাণ লাভ হয়।’ঈদকে ঘিরে এবারও গাবতলি হাটের পাশেও বসেছে খড়ের দোকান। বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আঁটি ৩০ টাকা। হাটে যারা গরু নিয়া আসছে, তারা কেনে। আবার যারা গরু কিন্না নিয়া যায়, তারাও কেনে।’
মৌসুমি এসব দোকান ঘুরে দেখা গেছে, এক আঁটি খড় বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। এরমধ্যে ২০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া এক আঁটি খড়ের আনুমানিক ওজন আড়াইশ’ গ্রাম। আর ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া আঁটির ওজন আধা কেজির কাছাকাছি। সেই হিসেবে এক কেজি খড়ের বর্তমান বাজার মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৬০ টাকার বেশি।
এদিকে, গাবতলি হাটে গরু নিয়ে আসা বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় ৩০ টাকা আঁটি দরে যে খড় বিক্রি হচ্ছে তা কুষ্টিয়া, যশোর, হেমায়েতপুর ও টাঙ্গাইলে মাত্র ৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
কারই/আইএইচ