মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ঈদের পরদিনই ঝকঝকে তকতকে রাজশাহী নগরী

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২২, ১১:৩৮ এএম

শেয়ার করুন:

ঈদের পরদিনই ঝকঝকে তকতকে রাজশাহী নগরী

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণে এবারও রেকর্ড গড়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। গত বছরের ন্যায় এবারও দ্রুততম সময়ে বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হয়েছে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ। 

ফলে ঈদের পরদিন সকালেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে তকতকে নগরী পেয়েছে নগরবাসী। বর্জ্য অপসারণে সার্বিক সহযোগিতা করায় নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। 


বিজ্ঞাপন


রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানায়, পবিত্র ঈদুল আযহার দিন সকাল ১০টা থেকেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ। বিভাগের ১ হাজার ৩৭৮ জন পরিচ্ছন্নকর্মী বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে অংশ নেয়। বিকেলের মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে রাখা হয় নগরীর নির্ধারিত এসটিএসসহ ৫৮টি স্থানে। 

এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর ঐতিহ্য চত্বর সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর থেকে এসটিএসসহ নির্ধারিত স্থানসমূহ থেকে বর্জ্য সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ডে নেওয়া হয়।  

উদ্বোধনকালে রোববার রাত ১২টার মধ্যেই কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন রাসিক মেয়র। তবে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ২৮টি ট্রাক ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হয়। 

এ বিষয়ে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মহানগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমি রাজশাহী মহানগরবাসী এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। 


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, কোরবানির পশু জবেহকরণের জন্য ২১০টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্ধারিত স্থানের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় পশু কোরবানি দিয়েছেন নাগরিকরা। ঈদের দিন বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন দেখতে পেয়েছি। কোরবানির স্থানসমূহ পানি দিয়ে পরিষ্কার করা এবং পর্যাপ্ত পরিমানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, দ্রুত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সকল নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল রাসিক। এছাড়াও কোরবানির বর্জ্য অপসারণ, কোরবানি পশু জবেহকরণ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রচার, মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে মুসল্লিদের অনুরোধ জানানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হয়। নগরবাসীকে সার্বিক সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য খোলা হয়েছিল কন্ট্রোল রুমও।

প্রতিনিধি/এএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর