কোরবানির প্রথম দিনের বর্জ্য অপসারণ করতে ১২ ঘণ্টার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অপর দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) লক্ষ্য ২৪ ঘণ্টা। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রথম দিনের বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে বলে আশাবাদী ঢাকার দুই নগর কর্তৃপক্ষ।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির ১০ হাজার ও ডিএসসিসির ৯ হাজার ৫০ জন কর্মী নিয়োজিত আছেন। দক্ষিণ সিটিতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকিতে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
বিজ্ঞাপন
পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, রোববার (১০ জুলাই) দুপুর দুইটা থেকে শুরু হয়েছে এই বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম। সরেজমিনে দেখা গেছে, এই সময়ের বেশ আগে থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। দুপুর দুইটা থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বিকাল সোয়া চারটায় ঢাকা মেইলকে জানান, নির্ধারিত সময়েই তাদের কর্মীরা কাজ শুরু করেছে। দুই ঘণ্টার মধ্যেই নগরের ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ছয় থেকে সাতটি ওয়ার্ডের কোরবানির বর্জ্য সম্পূর্ণ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের কথা বলেছি। তবে আমরা আশা করছি, এর আগেই আমরা তা করতে পারব। এখন পর্যন্ত (বিকেল সোয়া চারটা) আমাদের প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ১১টি ওয়ার্ডের সম্পূর্ণ বর্জ্যই অপসারণ হয়ে গেছে।’
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় দিনের কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্যও কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
এদিকে একই সময়ে বর্জ্য অপসারণে কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বিকেল সাড়ে চারটায় দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র মো. আবু নাছের ঢাকা মেইলকে জানান, নির্ধারিত সময়ে তাদের নয় হাজার ৫০ জন কর্মী বর্জ্য অপসারণে মাঠে নেমেছে। ২৪ ঘণ্টার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আজ রাত তিনটার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই নগর কর্মকর্তা।
তিনি জানান, বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত দক্ষিণের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্জ্য শতভাগ অপসারণ হয়েছে। এছাড়া করপোরেশনের মোট বর্জ্যের ৬০ শতাংশ এই সময়ের মধ্যে অপসারিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ দিকে রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শেরে বাংলা নগর, মহাখালী, গুলশান, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, বনশ্রী, ধানমণ্ডি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নগরবাসী যারা যার বাসার সামনের অংশ নিজেরাই পরিষ্কার করছেন।
কোরবানির বর্জ্য একটি নির্দিষ্ট ব্যাগে বা বস্তায় ভরে তা পাশে রাখছেন, আর রক্ত-চর্বি পানি দিয়ে পরিষ্কার করছেন। কেউ কেউ দুর্গন্ধ দূর করতে ছিটিয়ে দিচ্ছেন ব্লিচিং পাউডার।
নগর ঘুরে দেখা গেছে, নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা নিজেরা পরিষ্কারের ফলে বর্জ্য সেভাবে চোখে পড়ছে না।
এছাড়া নগরীর পয়ঃনিষ্কাশন খালেও এবার দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কম। রাজধানীর রামচন্দ্রপুর খাল, কল্যাণপুর খাল, মিরপুর সাংবাদিক কলোনি খালসহ বেশ কিছু খাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছর খালের পাড়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য ফেলে রাখার চিত্র এবার নেই। কিছু কিছু জায়গায় চাটাই ও ব্যাগ ফেলে রাখা হয়েছে। তবে তা আবার সিটি করপোরেশনের কর্মীরা নিয়ে যাচ্ছেন।
কারই/জেবি

















































































































































































































































































































