শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

শেষ মুহূর্তে কোরবানির হাটে ‘বৃষ্টি বিঘ্নতা’

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৩, ০৪:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

শেষ মুহূর্তে কোরবানির হাটে ‘বৃষ্টি বিঘ্নতা’

রাত পোহালেই ঈদ। কোরবানির সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, কোরবানির পশুর হাটে ততই ভিড় বাড়ছে। রাজধানী থেকে গ্রামে ঈদে আসা লোকজনেরা আজই কোরবানির গরুটি কিনবেন। কিন্তু সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই।

বুধবার (২৮ জুন) জেলার ঝিনাইগাতী গরু হাট, শেরপুরের পৌর নৌহাটা গরুর হাট, আব্দুস সামাদ গরু হাট, ঝগড়ারচর গরু হাটসহ অন্যান্য হাট ঘুরে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তে বিক্রেতা ও ক্রেতা কোনও পক্ষই ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাই ক্রেতারা দ্রুত সময়ের মধ্যেই বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে পছন্দের গরু-ছাগল কিনেছেন। বিশেষ করে রাজধানী হতে যারা গতরাতে বা আজ এসেছেন, তারা দেরি না করে পছন্দের গরুটি নিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ হই-হুল্লোড় করে উৎসবের আমেজে বৃষ্টিতে ভিজেই পশু কিনে বাড়ি ফিরছেন।


বিজ্ঞাপন


হাটগুলোতে দেখা যায়, দিনের শুরু থেকেই বৃষ্টির কারণে দেরিতে কোরবানির পশু আসা শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমজমাট হতে শুরু করে হাটগুলো। একইসঙ্গে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা পড়েছেন বৃষ্টি ভোগান্তিতে।

গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির পশুর দাম একটু বেড়েছে। ফলে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে অনেকেই পছন্দের গরুটি কিনতে হিমশিম খেয়েছেন। তবে প্রচুর গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে হাটগুলোতে। এতে ছোট ও মাঝারি আকৃতির সংখ্যাটাই বেশি।

ঝিনাইগাতী গরু হাটে গরু কিনতে আসা রাসেল আহম্মেদ বলেন, ভেবেছিলাম বৃষ্টি শেষে আবহাওয়া একটু ভালো হলে গরু কিনতে বের হব। কিন্তু বৃষ্টি না থামায় ভিজতে ভিজতেই হাটে চলে এসেছি। হাটে অনেক গরু, তবে পছন্দের গরুর দাম বাজেটের সঙ্গে মিলছে না। একটা মাঝারি সাইজের গরু খুঁজছি।

আখের মামুদ বাজার হয়ে হই-হুল্লোড় করে নিয়ে গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। তারা জানালেন, বৃষ্টির জন্য তো কোরবানি আটকে থাকবে না। তাই বৃষ্টির মধ্যেই আনন্দ করতে করতে গরু কিনে ফেলেছেন। আর তারা আজকে সকালে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনিয়ায় এসেছেন।


বিজ্ঞাপন


জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, কোরবানির পশু বিক্রির জন্য শেরপুর জেলায় ২৫টি হাটের পাশাপাশি অনলাইনে পশু বিক্রির জন্য ৭ প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে প্রাণিসম্পদ দফতর। হাটে তোলা গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত আছে ২০টি মোবাইল ভ্যাটারিয়ান টিম মাঠে আছে। গবাদিপশুর যেকোনো প্রকার সেবা দিতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিকেল টিম কাজ করছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলায় যারা বড় গরু প্রস্তুত করছে, আমরা নিয়মিত তাদের দেখভাল করছি। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সব খামারিদের। এবার জেলায় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩০ হাজার পশু উদ্বৃত্ত ছিল, যা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার পশু বিক্রি হবে শেরপুরে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর