কিশোরগঞ্জের তরুণ দ্বীন ইসলামের বাসা রাজধানীর ধোলাইখালের পাশেই। পেশায় রং মিস্ত্রি হলেও গত কয়েকবছর ধরে কোরবানির ঈদের সময় নামেন শখের ব্যবসায়। পশুর হাটের পাশে গরুর নানা ধরণের খাবার, ঘাস, প্লাস্টিকের পাত্র নিয়ে বসেন দ্বীন ইসলাম। এবছরও বসেছেন ধোলাইখালের হাটে।
আনুষ্ঠানিকভাবে পশু বিক্রি শুরুর আগে থেকে মোট পাঁচদিন হাটে এসব জিনিস বিক্রি করে বেশ ভালোই লাভ করতে পারেন বলে জানালেন দ্বীন ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৫ জুন) রাতে রায়সাহেব বাজার মোড়ে কথা হয় দ্বীন ইসলামের সঙ্গে। জানান, সারাবছর রং মিস্ত্রির কাজ করি। ঈদের সময় কোনো কাজ থাকে না। তাই বসে থাকি না। কিছু একটা করে সময় পার করা যায়। শখ করে বেচা-বিক্রি শেষে কিছু টাকা লাভও হয়।
হাটে বাঁশের গেটের নীচে ফাঁকা জায়গায় বসে ছোলার খোসা, গম-ভুট্টার ভুসি, কাঁচা ঘাস, প্লাস্টিকের গামলা, বালতি এসবের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দ্বীন ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করছেন আরেকজন।
ছোলার খোসা কেজি ৪০ টাকা। গম-ভুট্টার ভুসি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন দ্বীন ইসলাম। আর কাঁচা ঘাসের আটি ৩০ টাকা করে বিক্রি করছেন বলে জানান।
বিজ্ঞাপন
হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি শুরুর দিনে ভালোই পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, যারা মূলত হাট থেকে গরু-ছাগল কিনে নেন তারা বাসায় খাওয়ার জন্য এসব কিনে নেন।
দ্বীন ইসলাম জানান, পাঁচদিনের ব্যবসার জন্য ২০হাজার টাকার মতো সব মিলিয়ে খরচ হবে। ভালো বিক্রি হলে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা লাভ হবে। সঙ্গে থাকা অন্যজনের সঙ্গে হাট শেষে লাভের টাকা ভাগাভাগি করে নিবেন।
বিইউ/এমএইচটি

















































































































































































































































































































