আসন্ন ঈদুল আজহাকে উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে প্রথম হাটটি বসে। সারাদিন বৃষ্টির মধ্যেই হাটে দেশি, শাহীওয়াল ও ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরু-মহিষের ও ছাগল বিক্রি হয়েছে হাটে। তবে হাটে কোনো ভারতীয় গরু দেখা যায়নি।
ক্রেতারা বলছেন, বিগত সময়ের তুলনায় এবার গরু-মহিষের দাম কিছুটা বেশি। তবে বিক্রেতাদের দাবি, গোখাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালনে খরচ বেড়েছে। ফলে হাটে যে দাম উঠছে, তাতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
হাটে গরু কিনতে আসা বাবুল মিয়া জানান, তবে বিগত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি মনে হয়েছে তার কাছে। প্রত্যেক গরুতেই অন্তত ৫-৬ হাজার টাকা বেশি চাইছেন বিক্রেতারা।

হাটে পশু নিয়ে আসা কৃষক মানিক মিয়া জানান, তার গোয়ালের একমাত্র ষাঁড় গরুটি এনেছেন বিক্রির জন্য। ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাম চাইছেন গরুটির। কিন্তু ক্রেতারা আরও কম দাম বলছেন। এবার গোখাদ্যের দাম বাড়ায় গরু পালনে খরচ বেশি হয়েছে। তবে লোকসান হলেও গরু বিক্রি করতে হবে- কারণ খরচ দিয়ে আর গরু গোয়ালে রাখা সম্ভব না বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৮০টির মতো পশুর হাট বসবে। এসব হাটে এবার অন্তত ৭০০ কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এইচই

















































































































































































































































































































