কোরবানির ঈদে পশু জবাই করার পর মাংস কেটে রাখতে ব্যবহৃত হয় পাটি। তাই প্রতি বছর ঈদুল আজহা এলে হোগলা পাতার পাটির চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময় দুই তিন দিনের জন্য অনেকেই হোগলা পাতার তৈরী পাটির মৌসুমি ব্যবসায়ী বনে যান।
কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা থেকে চকবাজার-কান্দিরপাড় থেকে টমসমব্রীজ পর্যন্ত দেখা গেছে অর্ধশত মৌসুমি ব্যবসায়ী পাটি, বাঁশের তৈরী ওড়া ও গাছের গুড়ি নিয়ে বসে আছেন। ‘পাটি লন দেড়শো’ ডেকে ডেকে গ্রাহত আকর্ষণের চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে এসব বিকিকিনির জো উঠেছে নগরীজুড়ে। শেষ মুহুর্তে ক্রেতা বিক্রেতার দর কষাকষিতে ঈদের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আবদুর রহমান নামের এক বিক্রেতা জানান, আকার আকৃতি ভেদে বাঁশের তৈরী ওড়া একশ টাকা থেকে দুশো টাকায় বিক্রি করছেন তারা। হাড্ডি কাটার জন্য গাছের গুঁড়ি বিক্রি করছেন একশো থেকে দেড়শো টাকায়। এগুলো শিল কড়াই গাছের গুঁড়ি। আর পাটি বিক্রি করছেন একশো থেকে দেড়শো টাকায়।
আবদুর রহমান জানান, এখন পাটি আর গাছের গুঁড়ি বেশী বিক্রি হচ্ছে। ত্রিশ বছর ধরে বিভিন্ন হাটে তিনি পাটি বিক্রি করেন। তবে কোরবানীর ঈদে পাটি বিক্রির ধুম লাগে।
আবদুর রহমানের মতো লিয়াকত মিয়ারও একই চিন্তা। গাছের গুঁড়ি ও পাটি বিক্রি হইলে তারা খুশি।
কোরবানির ঈদকে উপলক্ষে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শাকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা পাটি তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করেন। ওই ইউনিয়নের শাকপুর গ্রামের শত পরিবার হোগলা পাতায় পাটি বুনেন। ওই গ্রামের সন্ধ্যা রানী বলেন, সারা বছরই হোগলা পাটি বানাই। ঈদের আগে অর্ডার বেশি থাকে। এবার ঈদে আমি একলাই দেড়শ হোগলা পাডি বানাইছি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এএ

















































































































































































































































































































