খামার মালিক আনোয়ার হোসেন। প্রজনন থেকে পেয়েছেন এঁড়ে বাছুর। নিজের সন্তানের মতো অতি আদর-যত্নে পালন করে বড় হয়েছে বাছুরটি। এর নাম রাখা হয় ‘রাজু’। ওজন এখন ২০ মণ। আসছে ঈদে বিক্রি করবেন বলে প্রত্যাশা তার। জানা গেছে, ‘রাজু’র দাম হাঁকানো হচ্ছে ১২ লাখ টাকা।
শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জগরজার্নি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, রাজু নামের বিশালকাকৃতির গরুটি দেখার জন্য আনোয়ারের বাড়ির ভেতর-বাইরে ভীড় করেছেন নারী-পুরুষ।
নজরুল ইসলাম ও রহিমা বেগম নামের দুজন বলেন, এবারের ঈদে উপজেলায় এটিই সবচেয়ে বড় ষাঁড়। বিশাল এ ষাঁড়টিকে এক নজর দেখার জন্য আমরা এসেছি।
খামারী আনোয়ার হোসেন জানান, আড়াই বছর আগে তার খামারে জন্ম নেয় একটি ভালো জাতের এঁড়ে বাছুর। আদর করে নাম রাখেন রাজু। সময়ের ব্যবধানে আজ সেই বাছুরটি বিশালাকৃতির ষাঁড়ে পরিণত হয়েছে। আসছে কোরবানি ঈদে রাজুকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, নিজের সন্তানের মতো করে রাজুকে বড় করেছি। ষাঁড়টিকে কখনো ফিড বা রাসায়নিক ক্ষতিকর কোনো খাদ্য খাওয়ানো হয়নি। ছোট থেকে স্বাস্থ্য সম্মত দেশি খাবার, (খৈল, ভুষি ও কাঁচা ঘাস) খাইয়ে বড় করা হয়। ষাঁড়টির উচ্চতা ছয় ফিটের বেশি। ওজন প্রায় ২০ মণ।
পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন জানান, আনোয়ার হোসেন একজন আদর্শ খামারী। তাকে লাভবান করতে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/এএ

















































































































































































































































































































