শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মানিকগঞ্জে বেড়েছে অনলাইনে কোরবানির গরু বিক্রি

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২২, ০৬:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

মানিকগঞ্জে বেড়েছে অনলাইনে কোরবানির গরু বিক্রি
ছবি: ঢাকা মেইল

মানিকগঞ্জে অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানি গরুর বিক্রি বেড়েছে। খামারিরাও এভাবে বিক্রয় করতে পারায় খুশি। হাঁটে না নিয়ে খামার থেকেই গরু বিক্রয় করা জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন বেশি খামারিরা।

তারা বলেন, হাঁটের ভোগান্তি ছাড়া খামার থেকে গরু কিনলে একটু কমদামেই বিক্রয় করবো। সেই জন্য বেপারি ও কোরবানি দিবে এমন ব্যক্তিরা অনলাইনে গরু দেখে কেনার জন্য জেলার খামার গুলোতে ঘুরে ঘুরে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেখে পছন্দ হলে দামা-দামি করে গরু ক্রয় করছেন। অনেকেই ক্রয়কৃত গরু খামারে রেখে যান। ঈদের আগেই নিয়ে যাবেন এমন কথা বলে। খামারিরাও তাদের সহায়তার জন্য মেনে নিচ্ছেন।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (৪ জুলাই) জেলার বিভিন্ন এলাকার খামার গুলো ঘুরে খামারি ও ক্রেতাদের কাছ থেকে এমন তথ্য জানা য়ায়।   

খামারি রুপচাঁন বলেন, ৬টা ষাড় গরু পালন করেছি। এবার কোরবানি ঈদে বিক্রয় করার জন্য। ঠিকানাসহ গরুর ছবি তুলে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছেড়ে দিয়েছি। সেখানে আমার গরু অনেকেই দেখতেছে। পছন্দ করে বেপারি ও কোরবানি দিবে এমন ব্যক্তিরা বাড়ি আসছেন। গরু দেখে পছন্দ হলে দরদাম করছে। গত কাল রবিবার দিন সিংগাইরের ইমরান এর কাছে লাল গরুটা ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করেছি। টাকা দিয়ে গেছে। ঈদের দিন ভোরে গরুকে জাপিয়ে (গোসল) দিয়ে আসব।

খামারি হারুন মিয়া বলেন, বাড়ি থেকে গরু বিক্রয় করতে পারলে নির্ধারিত দামের চেয়েও কমে বিক্রয় করবো। কারণ হাঁটে ক্রেতা বিক্রেতা ও গরু দিয়ে ভরা থাকে। চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। সেখানে আবার ঘন্টার পর ঘন্টা না খেয়ে গরুর রশি ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। নির্ধারিত দাম কেউ না বললে গরু বিক্রয় করতে মন চাই না। আবার গরু হাঁট পর্যন্ত নিতে অনেক টাকা ও খরচ হয়। একটু কম দাম নিয়ে খামার থেকে বিক্রয় করাটাই ভালো। সেই জন্য গরুর ছবি অনলাইনে দিয়ে দিয়েছি। ক্রেতারা এসে গরু দেখে দরদাম করছে।

বেপারি ইসমাইল হোসেন বলেন, ঈদের আগে আমরা ১০ জন বেপারি এক সাথে ব্যবসা করছি। আমাদের কিছুটা জানা আছে কোন কোন বাড়ি গরু অছে। আবার মোবাইলে দেখে সেই বাড়ি গিয়ে গরু কিনছি।


বিজ্ঞাপন


কোরবানি দেওয়ার জন্য অনলাইনে দেখে খামারে গিয়ে গরু কিনে হারুন মিয়া বলেন, ফেসবুকে গরুর ছবি দেখে ভালো লাগে। সেখানে ঠিকানা লেখা ছিল। এসে গরু দেখে পছন্দ হয়। দামাদামি করে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে রবিন এর বাড়ি থেকে গরুটি কিনলাম। ভালো হয়েছে। তাদের খামারেই রেখে যাচ্ছি। ঈদের আগের রাতে আমার বাড়িতে নিয়ে গরুটি দিয়ে আসবে তারা।

জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে খামারিরা গরু বিক্রয় করতে আগ্রহ দেকাছেন বেশি। এ বছর জেলায় কোরবানি ঈদে বিক্রয় করার জন্য খামারিরা ৫৬ হাজার ৮শ ৫০টি গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন। যা নিজ জেলার চাহিদ মিটিয়েও অন্যান্য জেলায় চাহিদ মেটাতে পারবে।

এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর