রাজধানীর বনশ্রী আবাসিক এলাকার জে-ব্লকের রামপুরা খালের তীরে মেরাদিয়া হাটের অবস্থান। ব্রিটিশ আমলে গড়ে ওঠা এই হাটটি দেশের নানা ইতিহাসের সাক্ষীও। কোরবানি ঈদকে ঘিরে প্রতিবছরই এখানে পশুর হাট বসে, যেটি ঢাকার বড় পশুর হাটগুলোর অন্যতম।
পবিত্র ঈদুল আজহার দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পশুর হাটের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যেই রাজধানীর এই হাটকে সাজাতে দিনরাত কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই ধারাবাহিকতায় হাটের প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে বনশ্রীর সব প্রবেশদ্বার ছাড়াও আশপাশের এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক তোরণ। সেই সঙ্গে টাঙানো হয়েছে পোস্টার-ব্যানার।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সরেজমিনে হাট ঘুরে দেখা যায়, মেরাদিয়া বাজারসহ দক্ষিণ বনশ্রীর জে-ব্লকের আশপাশের রাস্তাগুলোর দুই পাশের খালি জায়গায় বাঁশ পুঁতে কোরবানির পশু রাখার শেড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে গরু ও ছাগলের জন্য আলাদা আলাদা স্থান। পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, মূল মঞ্চসহ (খাজনার স্থান) মোবাইল ব্যাংকিং বুথ।
হাট সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। এরমধ্যে লাইটিংসহ বাকি কাজগুলোও আগামী দু-একদিনেই শেষ হবে। তবে ইতোমধ্যে হাটের প্রচার বাড়াতে বনশ্রী, রামপুরা, খিলগাঁও, বাসাবো, গোড়ান, নন্দীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সুবিশাল সব তোরণ স্থাপন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার-ফেস্টুন। আর মাইকিংয়ের কাজও শুরু হবে আগামী দু-একদিনেই।
বিজ্ঞাপন
কোরবানির হাটের প্রস্তুতির ব্যাপারে মেরাদিয়া হাটের ইজারাদার আলহাজ্ব আওরঙ্গজেব টিটু ঢাকা মেইলকে বলেন, হাটের সব প্রস্তুতি এখনও শেষ হয়নি। তবে বাকি কাজগুলো শেষ হতে আরও দুই-তিন সময় লাগবে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই সব কাজ শেষ করতে পারবো।
হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি- আগের দুই বছরের তুলনায় এবার কেনাবেচা ভালো হবে।
এদিকে, কোরবানির হাটের পাশাপাশি মেরাদিয়া বাজারের কামারের দোকানগুলোতেও বেড়েছে ব্যস্ততা। দা, বটি, ছুরি, চাপাতি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারেরা। পারভেজ আহমদ নামে একজন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য দা, বটি, ছুরি কিংবা চাপাতির প্রয়োজন হয়। এই সময় এগুলোর ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাই ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে আমরা আগেভাগেই প্রয়োজনীয় এসব জিনিস তৈরি করে রাখছি।’
এসএএস/আইএইচ