রোববার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বরগুনার ১০টি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৩, ০৬:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বরগুনার ১০টি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগেই বরগুনার বেতাগী উপজেলার ১০টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ জুন) সকাল ৮টায় উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ রমজান আলী।


বিজ্ঞাপন


ইমাম রমজান আলী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা পালন করছি। আমরা ঈদুল ফিতরও পালন করে ছিলাম একদিন আগে। এবারেও কাজিরাবাদের বকুলতলীতে আমি ঈদের নামাজ পড়িয়েছি। নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় শতবর্ষ আগে থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খন্তাকটা, লক্ষীপুরা, গ্রেদ লক্ষীপুরা,  কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কাজিরাবাদ, বকুলতলী, বুড়ামজুমদারের কাজির হাঁট ও হোসনাবাদ ইউনিয়নের আনোর জলিশা, সরিষামুড়ি ইউনিয়নের উত্তর কালিকাবাড়ি, ভোড়া এলাকার একটি অংশের প্রায় ১০তি গ্রামের চিশতিয়া কাদেরীয়া সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার অনুসারীরা অগ্রিম রোজা ও অগ্রিম ঈদ এবং এবারে ঈদুল আজহা পালন করেছেন। প্রথম দিকে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিবছরই এ সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গেছে।

betagi

কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামের বাসিন্দা গোলাম সরোয়ার বলেন, প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে আমরা রোজা, ঈদ ও এবারে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছি। বাংলাদেশের সাতকানিয়া থানার মির্জাখিল দরবার শরিফের নির্দেশে এইভাবে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছি।


বিজ্ঞাপন


সদর ইউনিনের খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা আলী আহম্মদ আকন বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। তাই এখনও সেই নিয়মই পালন করছি।

বেতাগী উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব ও ইমাম প্রভাষক আব্দুল হাই নেছারি বলেন, এখানে কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। এটি তাদের দীর্ঘদিনের রীতি। তবে এটা শরিয়তসম্মত নয়। কারণ, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময় ব্যবধান ৩ ঘণ্টা। যদি সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা এবং ঈদের নামাজ আদায় করতে হয় তাহলে তারা কেন অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৌদির সঙ্গে মিল রেখে করেন না কেন।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহম্মদ বলেন, আমি এখানে সদ্য যোগদান করেছি। নতুন এসে যতটুকু জেনেছি এ উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছরই অগ্রিম রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই তারা রোজা ও দুই ঈদ পালন করছেন।

বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে এ উপজেলা কয়েকটি গ্রামে ঈদুল আজহা পালন ও মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে সেখানে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশ সর্তক রয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর