রোববার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

নির্ধারিত সময়ে বর্জ্য অপসারণে তোড়জোড় ঢাকার দুই সিটির

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

নির্ধারিত সময়ে বর্জ্য অপসারণে তোড়জোড় ঢাকার দুই সিটির

দ্রুততম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এজন্য দুই সিটিতেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুর ২টা থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ শুরু করেছে। ডিএসসিসি দুপুর ২টা থেকে শুরু করে ২৪ ঘণ্টা এবং ডিএনসিসি আট ঘণ্টায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রায় ২০ হাজার কর্মী কাজ করছে বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে ঢাকার দুই সিটির মেয়রই বর্জ্য অপসারণ নিয়ে কথা বলেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমাদের সাড়ে তিনশর ওপর যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত আছে। বিভিন্ন বহির্বিভাগ থেকেও গাড়ি এবং যান-যন্ত্রপাতি এনেছি। প্রায় ১০ হাজার জনবল নিয়োজিত থাকবে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা আশাবাদী গতবারের মতো এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো। গতবারও যেভাবে সফল হয়েছি ইনশাআল্লাহ এবারও নির্ধারিত সমেয়ের মধ্যেই এই বর্জ্য অপসারণ করতে পারব, ঢাকাবাসীকে আরও বেশি সুফল দিতে পারব।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দুই দিনের মধ্যেই যেন পশু জবাইয়ের কাজ শেষ করা হয় এবং কোনোভাবেই যেন তৃতীয় দিন পর্যন্ত এটা না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সবার কাছে অনুরোধ করছি।

bb

উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, তাড়াতাড়ি বর্জ্য অপসারণ করতে এলাকাবাসীর সাহায্য দরকার। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, যত্রতত্র যেন ময়লা না ফেলেন। আমরা প্রত্যেককে পলি দিয়েছি। বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেবেন। আমাদের প্রায় ১১ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। শ্রমিকদের সাহায্য করার অনুরোধ করছি।


বিজ্ঞাপন


আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানি দিয়ে অনেকেই বাড়ি চলে যাবেন। বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি, যেসব পাত্রে পানি জমে তা উল্টে রেখে বাড়িতে যাবেন। এটা সবার জন্য সহায়ক হবে। অবশ্যই ছাদে যে পাত্র আছে তাতে যেন বৃষ্টির পানি জমতে না পারে। তা উল্টে যাবেন। আমাদের সব কর্মকর্তা মাঠে থাকবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। আপনারা সহযোগিতা চাইলে আমরা দ্রুত বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেব।

এবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় পাঁচ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব পশু থেকে কমপক্ষে ৩০ হাজার টন বর্জ্য সৃষ্টি হবে। এসব বর্জ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর