শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বৃষ্টি-কাদায় নাস্তানাবুদ গাবতলী হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৩, ০৫:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

বৃষ্টি-কাদায় নাস্তানাবুদ গাবতলী হাট

ভোর থেকেই থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। কিছুক্ষণ ক্ষান্ত দিয়ে আবারও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। এই বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করেও গাবতলী হাটে দেখা গেছে অনেক ক্রেতাকে। ভোগান্তি মাথায় নিয়ে নগরে পৌঁছেছেন বিক্রেতারাও। তবে হাটের পরিবেশে নাস্তানাবুদ পুরো হাট এলাকা।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকে হাটের চিত্র কর্দমাক্ত। যানজটে পরিবহনে চলাচল করা বেশ কঠিন। আর পায়ে হেঁটে গাবতলী হাট এলাকায় চলাচল যেন ধৈর্যের পরিচয় দেয়া।


বিজ্ঞাপন


এদিন সকাল থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে হাটের বেচা-বিক্রি শুরু হয়েছে। রাজধানীর গাবতলী হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে শত শত ট্রাক বোঝাই হাজার হাজার গরু। আর কোরবানির পশু বেছে নিতে হাট এসেছেন ক্রেতারা।

gabtoliহাট সংশ্লিষ্টদের মতে, ঈদের আগে আজই সবচেয়ে বেশি বেচা-কেনা হওয়ার কথা। বিষয়টি মাথায় রেখে আগে থেকে হাটে এসেছেন বিক্রেতারা।

গাবতলী হাটের তত্ত্বাবধানে থাকা সজিব সরকার ঢাকা মেইলকে জানান, রাতভর শত শত ট্রাক গরু নিয়ে গাবতলী হাটে পৌঁছেছে। গরুর আসা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘হাটে গরুর কোনো সংকট নেই। একের পর এক ট্রাক ঢুকতেছে।’


বিজ্ঞাপন


gabtoliএ কথার প্রমাণ মিলেছে গাবতলী দ্বীপনগর এলাকায়। জায়গাটিকে ট্রাক থেকে গরু নামানোর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে ব্যাপারীরা গরু নামিয়ে নির্ধারিত জায়গা নিয়ে যাচ্ছেন। তবে বৃষ্টির কারণে বেড়িবাঁধ সড়কের দুই পাড় কর্দমাক্ত হয়ে আছে। এ পথ ধরে হাটতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা।

মিরপুর থেকে গাবতলী হাটে আসা মিজানুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘খুবই খারাপ একটা পরিবেশ। হাঁটা যাচ্ছে না। পুরো এলাকা কাদা কাদা।’

মূল সড়কের পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাটের বর্ধিতাংশে। গরু বাধার জন্য যে সব জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, তার মাঝে পায়ে হেটে চলার যে জায়গা রাখা হয়েছে, সেসব জায়গা থেকে প্রবাহিত হচ্ছে বৃষ্টির পানি। সেই পানি মাড়িয়েই চলতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

বৃষ্টির কারণে হাটে ক্রেতার আনাগোনা কম দেখা গেছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি, বৃষ্টি কমলে ক্রেতা সমাগম বাড়বে।

কারই/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর