কোরবানি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম। আরবি ভাষায় এটি ‘উজহিয়্যাহ’ নামে পরিচিত। কোরবানি কেবলমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করতে হয়। কোরবানির পশুর গোশত, চর্বিসহ কোনোকিছুই বিক্রি করা বৈধ নয়।
কোরবানির পশুর যেকোনো অংশ যেমন—গোশত, চর্বি, হাড্ডি ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েজ নয়। তবে বিক্রি করলে পুরো অর্থ নিজের কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। পূর্ণ মূল্য সদকা করে দিতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৫/৮১) কোরবানির মাংস বিক্রি
বিজ্ঞাপন
তবে, পশুর চামড়া কোরবানিদাতা নিজে ব্যবহার করতে পারবে। নিজে ব্যবহার না করে যদি কেউ বিক্রি করে, তাহলে বিক্রিলব্ধ মূল্য সদকা করা জরুরি। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩০১) কোরবানির মাংস বেচাকেনা
সদকা করার উদ্দেশ্যেও চামড়া বিক্রি করলে তা পৃথক করার পরেই বিক্রি করতে হবে। ‘পশুর দেহ থেকে চামড়া পৃথক করার আগে তা বিক্রি করা নাজায়েজ।’ (দুররে মুখতার: ৬/৩২৯)
কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করলে মূল্য সদকা করে দেওয়ার নিয়তে বিক্রি করবে। বিক্রিলব্ধ অর্থ পুরোটাই জাকাতের উপযুক্ত ব্যক্তিকে সদকা করে মালিক বানিয়ে দেওয়া জরুরি। তা মাদ্রাসা-মসজিদ ইত্যাদি নির্মাণে খরচ করা জায়েজ নয়। তবে তা লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে উপযুক্ত ব্যক্তির জন্য দেওয়া যাবে। (ফতোয়া কাজিখান: ৩/৩৫৪)
কোরবানির চামড়ার মূল্য দিয়ে ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন, শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন দেওয়া নাজায়েজ। (শামি: ২/৩৩৯)
বিজ্ঞাপন
তবে, কোরবানির মৌসুমে অনেক মহাজন কোরবানির হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এসব টোকাইদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোরবানিদাতার জন্য নিজ কোরবানির কোনোকিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েজ হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনেশুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৫; কাজিখান: ৩/৩৫৪; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩০১)