কোরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যেই প্রস্তুত নওগাঁর পশু খামারিরা। এ বছর জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। আর এসব পশু কোনোরকম ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে পারিবারিকভাবে গরু লালন-পালন করছেন তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলায় ছোটবড় মিলিয়ে ২০ হাজার ৪০২টি খামার রয়েছে। যেখানে এবছর কোরবানি উপলক্ষে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩টি গবাদিপশু লালনপালন করা হয়েছে। এরমধ্যে ষাঁড় ৬৭ হাজার ৮১০টি, বলদ ২৪ হাজার ৬৪৪টি, গাভী ৪৬ হাজার ২৫৭ টি ও মহিষ ১ হাজার ৪৮৮টি। এছাড়া ছাগল ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৯টি এবং ভেড়া ৩৫ হাজার ৯৭৫টি। এ বছর জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার। গতবছর প্রায় ৩ লাখ ৯৩ হাজারের অধিক পশু কোরবানি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা ভিত্তিক কোরবানির পশুর সংখ্যা হলো, নওগাঁ সদর উপজেলায় ২ হাজার ১৩৪টি খামারে ষাঁড় ৬ হাজার ৬৬৯টি, বলদ ২ হাজার ৮৬৯টি, গাভী ১ হাজার ৮৫১টি, ছাগল ২৭ হাজার ৬৫৮টি ও ভেড়া ৩ হাজার ৩৭৩টি।
রানীনগর উপজেলায় ১ হাজার ৮৬৫টি খামারে ৭ হাজার ১৮৮টি ষাঁড়, ১ হাজার ৬০২টি বলদ, ৩ হাজার ২৫১টি গাভি, ৮৯টি মহিষ, ২৬ হাজার ৮৬৩টি ছাগল ও ২ হাজার ৭৪৮টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৪১ হাজার ৭৪১টি।
আত্রাই উপজেলায় ৭০১টি খামারে ৩ হাজার ৫৬৩টি ষাঁড়, ৯২১টি বলদ, ২ হাজার ৯৯৫টি গাভি, ১৫ হাজার ৫৭৯টি ছাগল ও ১ হাজার ৭২৫টি ভেড়াসহ সর্বমোট ২৪ হাজার ৭৮৩টি।
বদলগাছি উপজেলায় ১ হাজার ২১৬টি খামারে ৪ হাজার ৩৫৬টি ষাঁড়, ১ হাজার ১৬৭টি বলদ, ২ হাজার ৭৩০টি গাভি, ২২ হাজার ১৭৯টি ছাগল ও ১ হাজার ৯৪৭টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৩২ হাজার ৩৭৯টি।
মহাদেবপুর উপজেলায় ১ হাজার ৪০৪টি খামারে ৮ হাজার ৯৩৯টি ষাঁড়, ৪ হাজার ১০৫টি বলদ, ২ হাজার ৯৬৫টি গাভি, ২৪ হাজার ৬৮৯টি ছাগল ও ৩ হাজার ৬২১টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৪২ হাজার ৫৮৯টি।
পত্নীতলা উপজেলায় ১ হাজার ৭২০টি খামারে ৭ হাজার ৬৩৩টি ষাঁড়, ১ হাজার ৯৯২টি বলদ, ৩ হাজার ২৭৭টি গাভি, ৩০ হাজার ৪৮৮টি ছ্গাল ও ৩ হাজার ৪২০টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৪৬ হাজার ৮১০টি।
বিজ্ঞাপন
ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ৯১৮টি খামারে ৬ হাজার ৮২০টি ষাঁড়, ১ হাজার ৭৫২টি বলদ, ৮ হাজার ৫১টি গাভি, ২৪ হাজার ৭২২টি ছাগল ও ৩ হাজার ৪৫০টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৪৪ হাজার ৮২৫টি।
সাপাহার উপজেলায় ২ হাজার ২৫৬টি খামারে ৩ হাজার ১৮৭টি ষাঁড়, ২ হাজার ৪৭৯টি বলদ, ৪ হাজার ৬৫টি গাভি, ৪টি মহিষ, ১৭ হাজার ২৩টি ছাগল ও ১ হাজার ৮২৮টি ভেড়াসহ সর্বমোট ২৮ হাজার ৭৬৬টি।
পোরশা উপজেলায় ১ হাজার ৬৫০টি খামারে ৩ হাজার ৮৮৬টি ষাঁড়, ১ হাজার ৪৯৪টি বলদ, ৭ হাজার ১৫৮টি গাভি, ১ হাজার ২৯৪টি মহিষ, ১৬ হাজার ২২৯টি ছাগল ও ৩ হাজার ৩৭৫টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৩৩ হাজার ৪৩৬টি।
নিয়ামতপুর উপজেলায় ১ হাজার ২০৭টি খামারে ৫ হাজার ৭৭২টি ষাঁড়, ১ হাজার ৭২২টি বলদ, ১ হাজার ৬৯৩টি গাভি, ৯টি মহিষ, ২১ হাজার ৪৪টি ছাগল ও ১ হাজার ৮৫৬টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৩২ হাজার ৯৬টি।
এছাড়া মান্দা উপজেলায় ৪ হাজার ৩০১টি খামারে ৯ হাজার ৭৯৭টি ষাঁড়, ৪ হাজার ৫৪১টি বলদ, ৮ হাজার ২২১টি গাভি, ৬২টি মহিষ, ৩১ হাজার ৯৭৫টি ছাগল ও ৮ হাজার ৬৩২টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৬৩ হাজার ২২৮টি ।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মহির উদ্দিন বলেন, জেলায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গবাদিপশু রয়েছে। দেশের সব জেলায় সমহারে পশু উৎপাদন না হওয়ায় উদ্বৃত্ত পশু ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করবেন। খামারিরা যে স্বপ্ন নিয়ে পশুপালন করেছেন, আশা করা যায় তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হবে।
প্রতিনিধি/এএ