মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

কোরবানির পশুতে ওলিমার অংশ নেওয়া কি জায়েজ?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৩, ০৬:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

কোরবানির পশুতে ওলিমার অংশ নেওয়া কি জায়েজ?

কোরবানির পশুতে (গরু, মহিষ, উট) আকিকার মতো আলাদাভাবে ওলিমার অংশ নেওয়া জায়েজ। তবে মাসয়ালাটি একটু বুঝতে হবে। কোরবানির গোশত দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করব বা বিয়ের মেহমানদের আপ্যায়ন করব—এমন নিয়তে কোরবানি করলে কোরবানি সহিহ হবে না। কারণ, এমন নিয়ত আল্লাহর বিধান পালনের উদ্দেশ্যে হচ্ছে না, বরং আত্মীয়দের খাওয়ানোর জন্য কোরবানির পশু জবাই করা হচ্ছে। এভাবে নিয়ত করে কোরবানি করা জায়েজ নেই। 

এ বিষয়ে ফতোয়ার কিতাবগুলোতে বলা হয়েছে—যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কোরবানি না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করে তাহলে তার কোরবানি সহিহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরিকদের কারো কোরবানি হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরিক নির্বাচন করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৮, কাজিখান: ৩/৩৪৯)


বিজ্ঞাপন


তবে, আল্লাহর হুকুম পালনে কোরবানি করার পর, ওই গোশত দিয়ে বিয়ের মেহমানদারি করলে কোরবানি শুদ্ধ হবে। মেহমানদের খাওয়ানোও বৈধ হবে। শরিকদের সবার কোরবানিও শুদ্ধ হয়ে যাবে। (সূত্র: আজিজুল ফতোয়া: ১/৭১৮, ফতোয়ায়ে শামি: ৬/৩২৬; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩০৪)

এখানে মাসয়ালা দুটি। একটি হলো- কোরবানির অংশটিকে বিয়ের মেহমানদারির জন্য নিয়ত করা। দ্বিতীয় মাসয়ালা হলো- কোরবানির অংশ নয়, বরং কোরবানির পশুতে আলাদা অংশে ওলিমার অংশ রাখা। প্রথম সুরতে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। দ্বিতীয় সুরতে কোরবানি শুদ্ধ হবে।

অতএব, ‘কোনো অংশীদার যদি কোরবানির নিয়ত করে এবং কোনো অংশীদার যদি ওলিমার নিয়ত করে, তবে তাদের একত্রে কোরবানি করা বৈধ।’ আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সহিহ শুদ্ধভাবে কোরবানি করার এবং ওলিমা-আকিকা ইত্যাদি করার তাওফিক দান করুন। আমিন। কোরবানির সাথে ওলীমা, কুরবানী ও ওলীমা একসঙ্গে, কুরবানির সাথে ওলিমা জায়েজ, ওলিমার নিয়তে কুরবানি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর