রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বছিলা আবাসিক এলাকায় বসা কোরবানির হাট জমে উঠেছে। সকাল থেকে বৃষ্টির বাগড়া থাকলেও বেচাকেনা থেমে নেই৷ হাট শুরুর দ্বিতীয় দিনে হাট জমে ওঠায় খুশি বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে বছিলা হাট ঘুরে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
ফরিদপুর থেকে আজ ভোরে ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন তোতা মিয়া। দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত তিনি চারটি গরু বিক্রি করেছেন। বাকি গরুগুলোর আজ অর্ধেক বিক্রি হবে বলে আশাবাদী তোতা মিয়া।
হাট যে জমে ওঠেছে তার প্রমাণও মিলল হাটের হাসিল আদায়কারী কর্তৃপক্ষের লাগানো মাইক থেকে আসা চিল্লাচিল্লি শুনে। মাইকে বারবার বলা হচ্ছে, আপনারা কেউ হাসিল না দিয়ে গরু নিয়ে যাবেন না। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হচ্ছে, অনেকে গরু নিয়ে সরাসরি হাট থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, তোমরা খেয়াল রাখো। হাসিল না দেখে কোনো গরুর মালিককে বের হতে দিও না। আজকের হাসিলের মার্কা দোয়েল। এটা দেখে ছেড়ে দিবা।
হাটে এখনো গরু আসছে। ট্রাক ও পিকআপ করে দূর-দূরান্ত থেকে ব্যাপারীরা গরু নিয়ে আসছেন। পুরো হাটজুড়ে কাদা জমেছে। এর মাঝে সকাল থেকে থেমে থেমে আসা বৃষ্টি এখনো চলছে। অনেকে বৃষ্টির জন্য ছাতা নিয়ে ঘুরছেন। তবে ব্যাপারীরা বৃষ্টিতে ভিজেই গরু বিক্রি করছেন। হাটের সড়কে কাদার সৃষ্টি হওয়ায় কেনা গরু নিয়ে বাড়ি ফিরতে ঘাম ছুটছে গরু বহনকারীদের। এই হাটটি আবাসিক এলাকায়। গত কয়েক বছর ধরে এখানে গরুর হাট বসছে। তবে এখনো সড়কগুলো কাঁচা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
হাজারীবাগ থেকে এসেছেন রাশেদুল আলম। তিনি ব্যাংকার। আজ ব্যাংক বন্ধ থাকায় ছুটিটাকে কাজে লাগাতে গরুর হাটে এসেছেন। তিনি বলছিলেন, আজ রোদ নেই। বৃষ্টি হচ্ছে, কিন্তু বেচাকেনা থেকে নেই।
হাটের মাঝের সড়কে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছেন আব্বাস সরকার। তিনি জানান, সকাল থেকে কয়েকশ গরু বিক্রি হয়েছে। আজ কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে তার বিশ্বাস।
এই হাটে আজ ছোট গরু লাখের ওপর আর মাঝারি গরু দেড় লাখের ওপরে দাম হাঁকাচ্ছেন ব্যাপারীরা। কিন্তু দেড় লাখের গরুগুলোর বেশির ভাগ এক লাখ ১০-২০ হাজারে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ ছোট গরুর চাহিদা কম।
এমআইকে/জেবি