‘আমাদের বরিশালের অধিকাংশ মানুষের যাতায়াতের ভরসা ছিল নৌপথ। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই আমাদের শংকা নিয়েই নৌপথে ঢাকা থেকে গ্রামে আসতে হত। তবে এবছর পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় শংকাবিহীন ভ্রমণে বাড়ি যাচ্ছি। এখন থেকে প্রতিবছর ঈদ আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করার সুযোগ পেলাম। এতে করে আমরা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ ভীষণ খুশি।’
কথাগুলো বলছিলেন মো. ইউনুস (৩৫) নামের বরিশালের এক ব্যক্তি। তিনি বাসে করে বরিশালের কাশিপুর এলাকায় যাচ্ছিলেন। পদ্মা সেতুর কল্যাণে নৌপথের ভোগান্তিকে ছুটি দিয়ে বাসে করে বাড়ি যেতে পেরে আনন্দে উচ্ছ্বসিত তিনি।
বিজ্ঞাপন
২৫ জুন খুলে দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতুর দ্বার। এর মাধ্যমে অবসান ঘটেছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির। এ অঞ্চলের মানুষ ঈদুল আজহার ছুটিতে পরিবারের সাথে কোরবানি আনন্দ ভাগাভাগি করতে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসে করে গ্রামে ফিরতে পেরে সন্তুষ্ট তারা।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে ঢাকা থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেন, খুব ভালোভাবেই বাড়ি আসতে পেরেছি। এক বাসেই এলাকায়। এই পদ্মা সেতু আমাদের জন্য কতটা গর্বের তা বুঝি। এই সেতু না থাকার কারণে অনেক বছর পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এখন থেকে আর এ সমস্যা রইল না।
হিরন্ময় গাইন নামে এক তরুণ বলেন, ‘গেল বছরও কোরবানির ছুটিতে দ্যাশে আইছিলাম। তবে ভোগান্তির কথা আর কইমু কী, ১০টা ঘণ্টা যুদ্ধা কইরা আইতে হইছে আমাগো। আগে ছুটি পাইলেই বাড়ি যাওয়ার যেই কষ্ট, সেই কথা মনে পড়লেই টেনশনে পইড়া যাইতাম। এইবার তো চাইর ঘণ্টায় দ্যাশে আইলাম।’
প্রতিনিধি/এএ

















































































































































































































































































































