শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পোস্তগোলা শ্মশান ঘাটের পশুর হাটে যত আয়োজন

বোরহান উদ্দিন
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২, ০৮:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

পোস্তগোলা শ্মশান ঘাটের পশুর হাটে যত আয়োজন
ছবি: ঢাকা মেইল

কোরবানি ঈদ ঘনিয়ে আসায় বাহারি রূপে সেজেছে রাজধানীর পোস্তগোলা শ্মশান ঘাটের পশুর হাট। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নিরাপদ কেনাকাটা, ব্যবসায়ীদের থাকার ব্যবস্থাসহ বর্ণিল লাইটিং কোনোকিছুই যেন বাদ যায়নি। সঙ্গে বাঁশের খুঁটি পুঁতে একের পর এক সারিবদ্ধ তাবুও দৃশ্যমান। তাই ইজারাদারদের নিয়োজিত লোকজনের নজর এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে।

বুড়িগঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে তৈরি করা সড়কের দুই পাশের এই হাটে এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। আগামী ৬ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখানে বিক্রি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে এখনই হাটে আসা গরু তোলা হচ্ছে না। বর্তমানে সড়কের পাশেই ভেতরের দিকে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে আগেভাগে আসা গরুগুলো।


বিজ্ঞাপন


Qurbani

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পড়েছে কোরবানির এই হাটটি। পাশের সড়ক দিয়ে যান চলাচল কম হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ে ফাঁকাই থাকে এই এলাকাটি। ফলে হাট ইজারাদারদেরও আগেভাগেই আসা গরুগুলো রাখতে সুবিধাই হয়েছে।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০টি হাটের মধ্যে নয়টির ইজারা পেয়েছেন আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতাকর্মীরা। এছাড়া একটি হাটের ইজারা পেয়েছেন জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্যের ভাগ্নে। এরমধ্যে চলতি বছর পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার এই হাটটি দুই কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মঈন উদ্দিন চিশতী। ফলে শেষ সময়ে এখন হাট সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তার নিকটাত্মীয় ও দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

Qurbani


বিজ্ঞাপন


ইজারাদারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হাঁটে ব্যবসায়ীদের জন্য থাকা-খাওয়াসহ সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই হাটে লাগানো হয়েছে ১৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের পাশাপাশি থাকবে জেনারেটর সুবিধা। আর বিশুদ্ধ পানি ও খাবার হোটেলের সঙ্গে গোসল ও টয়লেটের সুবিধা তো থাকছেই। এসবের পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক হাটজুড়ে থাকবে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকও।

Qurbani

এর বাইরে থাকবে ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সুবিধা ছাড়াও জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন। সেই সঙ্গে পশু কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য এই হাটে পশু চিকিৎসকও রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ইজারাদারের সহযোগী মো. ফালান। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, যেহেতু করোনার জন্য সরকার কিছু নির্দেশনা দিয়েছে, তাই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সেগুলো মেনে চলতে।

Qurbani

ইতোমধ্যেই কোরবানির এই হাটের পূর্ব প্রান্তে বড় আকারের একটি মঞ্চ করা হয়েছে। যেখান থেকে সবকিছু দেখভাল করা হবে। সেই সঙ্গে পাশেই করা হয়েছে সাতটি হাসিল ঘর। আর ব্যাংকিং কার্যক্রমও চলবে মূল মঞ্চের পাশেই।

এদিকে, আগেভাগেই হাটে আসা পশু রাখার জন্য সামনের দিকে রাস্তার দুইপাশে বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েক জায়গায় ইতোমধ্যেই ত্রিপল দিয়ে প্যান্ডেলও করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সড়কের দুই পাশে পুঁতে রাখা বাঁশেও কোরবানির পশু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। সঙ্গে সবগুলো খুঁটিতে দূরত্ব রেখে কোথাও বাল্ব, কোথাও আবার টিউব লাইট দিয়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নদীর তীরে স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।

Qurbani

সার্বিক বিষয়ে হাটের ইজারাদার মো. মঈন উদ্দিন চিশতী ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরা পাইকার-ক্রেতা সবার জন্য সুন্দর পরিবেশ দিতে চাই। বিক্রেতা-ক্রেতা সবাইকে বলব- পছন্দের পশু কিনতে আসবেন। কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানাবেন, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’

করোনার কারণে বাজারে কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সরকার নির্দেশনা দিয়েছে মাস্ক ছাড়া বাজারে ঢোকা যাবে না। আমরা মাস্ক দেব, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেব। চেষ্টা করব সব নির্দেশনা মেনে চলতে।’

বিইউ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর